কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২৪, ০৫:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ডিবি হারুন জানালেন

কবে ৬ সমন্বয়ককে পরিবারের হেফাজতে দেওয়া হবে

ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ছবি : সংগৃহীত
ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুতই তাদের পরিবারের হেফাজতে দেওয়া হবে। সোমবার (২৯ জুলাই) ডিবিপ্রধান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ডিবির নিরাপত্তা হেফাজতে থাকা সমন্বয়করা যদি নিরাপদ বোধ করেন, পর্যবেক্ষণে যদি মনে হয় তারা নিরাপদ, তাহলে পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুতই তাদের পরিবারের হেফাজতে দেওয়া হবে।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়কের নিরাপত্তার জন্য হেফাজতে নেয় ডিবি।

রোববার (২৮ জুলাই) রাতে ডিবি অফিসে আলোচনা শেষে এক ভিডিও বার্তায় সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

লিখিত বার্তায় নাহিদ ইসলাম বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও তার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকে অপ্রত্যাশিতভাবে আহত এবং নিহত হয়েছেন। তাছাড়া রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ নানা সহিংস ঘটনা ঘটেছে। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের প্রধান দাবি ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার যা ইতোমধ্যে সরকার পূরণ করেছে। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই।

বৈসম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক আরও বলেন, সার্বিক স্বার্থে এ মুহূর্ত থেকে আমরা আমাদের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের ডাক দেয়। একপর্যায়ে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে যোগ দেয়। তাদের সঙ্গে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদেরও দেখা যায়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ‘বাংলা ব্লকেড’ নামের অবরোধও দেয়। একপর্যায়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীসহ সারা দেশে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকার সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্লাস পরীক্ষা স্থগিত করে হল খালি করার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ করা হয়। গত ১৮ জুলাই আন্দোলনকারীরা সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেয়। ব্যাপক ভাঙচুর হয় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৯ জুলাই রাতে কারফিউ জারি করে সরকার। বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী।

এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে সহিংসতায় এ পর্যন্ত ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৮ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, সহিংসতায় কখনো বলা হচ্ছে ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আসলে মৃত্যু নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রসহ বিভিন্নভাবে এ তথ্য জানা গেছে।

তিনি বলেন, মৃতদের মধ্যে পুলিশ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কাতারের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় পৌঁছাবে মধ্যরাতে

কৃষকের ১২ হাজার তরমুজ চারা নষ্ট করল দুর্বৃত্তরা

বন্ধুত্বের টানে যশোরে কোরিয়ান নাগরিক সিমকো 

হিরো আলমকে হত্যাচেষ্টায় জামিন পেলেন ম্যাক্স অভি

হাসনাত-সাদিকসহ অক্সফোর্ড ইউনিয়নে আমন্ত্রণ পেলেন যারা

গতি বাড়াতেই বিচ্ছিন্ন হয় বগি, শব্দ পেয়ে ট্রেন থামালেন চালক

দুই মাসের জন্য ছিটকে গেলেন রিয়াল তারকা

নিজ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় যা বললেন আলোচিত ফয়জুল হক

জনস্বাস্থ্য পেশার সম্ভাবনা নিয়ে আইএসইউতে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞের সেমিনার 

সিনেমার কায়দায় প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব, ভিডিও ভাইরাল

১০

আজও কমলো স্বর্ণ ও রুপার দাম

১১

চমকে দিলেন ফারিণ

১২

সাগরের ৩৯২ মিটার গভীরে কী বানাচ্ছে নরওয়ে

১৩

সাভারে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিএনপির দোয়া

১৪

রুমাল পেতে বাসের সিট দখল, সরিয়ে অপরজন বসতেই লঙ্কাকাণ্ড

১৫

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আরেক বাংলাদেশি নিহত

১৬

কনার রহস্যজনক পোস্ট

১৭

অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম শতকের দেখা পেলেন রুট

১৮

পটুয়াখালী-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন শহীদুল আলম

১৯

আইজিপিকে সরাতে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ

২০
X