জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জবি অধ্যাপককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করল শিক্ষার্থীরা

অধ্যাপক মুর্শিদা বিনতে রহমানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার ব্যানার। ছবি : কালবেলা
অধ্যাপক মুর্শিদা বিনতে রহমানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার ব্যানার। ছবি : কালবেলা

আন্দোলনে গণহত্যার দোসর ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান মুর্শিদা বিনতে রহমানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বিগত সরকারের আমলের গুমের রাজনীতি এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিষয়ে এমফিল করতে চাওয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ইতিহাস বিভাগের সামনে চেয়ারম্যানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে একটি ব্যানার টাঙ্গিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। এছাড়া একই দিনে তার শাস্তি চেয়ে উপাচার্য বরাবর দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে।

ব্যানারে লেখা আছে, মুর্শিদা বিনতে রহমান ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর। মুনতাসির মামুন ও শাহরিয়ার কবিরের অনুসারী। তিনি জুলাই-আগস্ট এর গণহত্যার দায় ছাত্রদের নিতে হবে বলে মন্তব্য করে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। তার অফিসে এখনো শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি রয়েছে। তিনি ক্লাসে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পক্ষে কথা বলতেন। জুলাই বিপ্লবের সরাসরি বিপক্ষে থাকা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দোসর ড. মুর্শিদা বিনতে রহমানকে ইতিহাস বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হলো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইতিহাস বিভাগের একজন শিক্ষার্থী বলেন, মুর্শিদা ম্যাম জুলাই বিপ্লব চলাকালীন ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন যে, গণহত্যার দায় শিক্ষার্থীদের নিতে হবে। এছাড়া জবি ছাত্রলীগ সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজীর সঙ্গে তার খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।

আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, মুসলিম শিক্ষার্থী যারা দাড়ি-টুপি রাখে অথবা জুব্বা-পাঞ্জাবি পরে তাদের প্রায় সময়ই তিনি কটাক্ষ করে কথা বলেন এবং অপমানিত করেন। তিনি ধর্মকে আঘাত করে কথা বলেন। তবে শিক্ষার্থীদের বলতেন, তিনি তার গবেষণালব্ধ জ্ঞান থেকে এসব বলছেন। কোনো বানানো কথা নয়।

এ ছাড়া বিগত সরকারের আমলে হওয়া গুম ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে এম.ফিল করতে চাওয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেননি তিনি- এমন অভিযোগ উঠেছে।

এসব অভিযোগ জানিয়ে সোমবার উপাচার্য বরাবর অভিযোগপত্র দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

তারা হলেন- সাইফুল ইসলাম দিলাম, জাহিদুর রহমান জামাল, মো. তানভীর রায়হান, মো. মুর্তজা খালেদ, আবু নাঈম, সাইফুল ইসলাম নিবিড়, আবু আনছার।

অভিযোগপত্রে তারা বলেন, ৫ আগস্ট-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করা আমাদের অধিকার ও কর্তব্য। ইতিহাস বিভাগের ৫ শিক্ষার্থী এম.ফিলে ভর্তির জন্য আবেদন করলেও বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুর্শিদা বিনতে রহমান ইচ্ছাকৃতভাবে আবেদনগুলোর ব্যাপারে কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।

এমতাবস্থায় ২০২৪-২৫ সেশনে আমাদের এম.ফিলে ভর্তির বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাদের এম.ফিলের বিষয়গুলো হলো- বাংলাদেশে গুমের রাজনীতি ২০০৯-২০১৪, বাংলাদেশে গুমের রাজনীতি ২০১৫-২০১৯, বাংলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ২০১৪-২০২৪।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঘুমের মধ্যে দম আটকে যাওয়া কীসের লক্ষণ, হলে কী করবেন?

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক তৌহিদুলের শুধু বদলি নয়, অপসারণ চান কর্মকর্তারা

আরবের কোথায় গেলে খরচ কম, কোথায় সবচেয়ে বেশি

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ? 

আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

বাসায় তৈরি ক্রিমেই দূর হবে মুখের দাগছোপ

বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ ২ সদস্য নিহত

বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প

৬৫ যাত্রী নিয়ে ডুবে গেল কাঠের নৌকা

১০

চুক্তিতে না এলে জাপানকে ৩৫ শতাংশ শুল্কের হুমকি ট্রাম্পের

১১

মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা বিআরটিএর

১২

মঙ্গলে প্রাণ নেই কেন? নতুন তথ্য দিল নাসা

১৩

২ লাখ টাকার চুক্তিতে খুন হয় প্রবাসী স্ত্রী

১৪

এআইয়ের কারণে মাইক্রোসফট থেকে বাদ পড়ছে ৯ হাজার কর্মী 

১৫

০৩ জুলাই : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৬

দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ৯ জেলায় হতে পারে ঝড়বৃষ্টি 

১৭

সাড়ে ৩ কোটি টাকার হিসাব নেই কুবিতে

১৮

বৃহস্পতিবার ঢাকার যেসব এলাকায় মার্কেট বন্ধ

১৯

০৩ জুলাই : আজকের নামাজের সময়সূচি

২০
X