অপরাধীদের আইনের আওয়াতায় আনা এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে খুলনা মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী ও ইন্টার চিকিৎসকদের চলমান আন্দোলন সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট)এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের পক্ষ থেকে। তবে চিকিৎসকরা আন্দোলন প্রত্যাহার করলেও ওষুধ ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রেখেছেন।
এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে ইতমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মাহামুদুর রহমান বিপ্লব ও মীর বায়োজিদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কতিপয় অসাধু ওষুধ ব্যবসায়ীদের মদদপুষ্ট হামলার শিকার মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের প্রতি স্থানীয় সংসদ সদস্য সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল ও কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সহমর্মীতা ও হস্তক্ষেপে অবিলম্বে অপরাধীরা গ্রেপ্তার হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তাছাড়া যৌক্তিক দাবিও দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুরণ হবে। তাই জনদুর্ভোগ নিরসনে ও রোগীদের কল্যাণে কর্মবিরতি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলো।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ চত্বরে ইন্টার্ণ চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। তবে প্রশাসন, সাংসদ, মেয়র এবং বিএমএর পক্ষ থেকে বিষয়টি অতিব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় এনে সন্তোষ জনক সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়। এছাড়া বুধবার রাতে বিএমএর পক্ষ থেকে জরুরি সভা আহ্বান করে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করা হয়। সংকট নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিকদের পক্ষ থেকেও।
ইন্টার চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. সাইফুল ইসলাম অন্তর ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. সামসুজ্জোহা সচিব প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সোমবার রাতে কতিপয় অসাধু ওষুধ ব্যবসায়ীর মদদপুষ্ট হামলায় ৩০ থেকে ৩৫ জন ইন্টার চিকিৎসক ও শিক্ষার্থী আহত হন। এই ঘটনার পর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ৭২ ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করে। তবে যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে বৃহস্পতিবার তা প্রত্যাহার করা হয়।
মন্তব্য করুন