বাঙলা কলেজ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:২৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বাঙলা কলেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দুই পক্ষের সংঘর্ষ

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটির পদবন্ঠন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ছবি : কালবেলা
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটির পদবন্ঠন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ছবি : কালবেলা

রাজধানীর সরকারি বাঙলা কলেজে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। কমিটিতে পদবন্ঠন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন, যার মধ্যে সদস্য সচিব আব্দুল আহাদ গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েকদফায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। অনেক শিক্ষার্থী নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ দুইপক্ষকেই সংযত থাকার আহ্বান জানিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটির সদস্যরা কলেজের ছাতিমতলায় সভা করছিলেন। তখন কমিটির পদধারী অন্য একটি পক্ষের সঙ্গে পদবণ্ঠন নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে সদস্য সচিব আব্দুল আহাদ মেসেঞ্জার গ্রুপে বার্তা পাঠিয়ে আবাসিক শিক্ষার্থীদের ডেকে আনেন। এরপর উভয়পক্ষ ফের সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয়পক্ষের একাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।

জানা গেছে, গতকাল দুপুরে প্রথম দফায় সংঘর্ষের পর অধ্যক্ষ উভয় পক্ষকে তার কক্ষে ডেকে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। তবে কলেজের মেইন ফটকে বের হওয়ার পরপরই সদস্য সচিব আহাদ আবার হামলার শিকার হন।

হামলাকারীদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাঙলা কলেজ শাখার কার্যনির্বাহী সদস্য শাহিন এবং তার সঙ্গীরা ছিলেন। এ বিষয়ে আহাদকে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন ধরেননি। অন্যদিকে শাহিন বিষয়টি নিজেদের ব্যক্তিগত বলে জানান।

জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাঙলা কলেজ শাখার আহ্বায়ক এ এম মুত্তাকী বলেন, কমিটিতে নাম অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত হয়, যা পরে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে পরিণত হয়। সদস্য সচিব আহাদ বিষয়টি সাংগঠনিকভাবে সামলানোর পরিবর্তে ব্যক্তিগতভাবে নিয়েছেন। তবে সংঘর্ষ কোনোভাবেই কাম্য নয়।

সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: কামরুল হাসান উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই বিষয়টি রাজনৈতিক হলেও আমি আমার ক্যাম্পাসে কোনো বিশৃঙ্খলা বা মারামারি মেনে নেব না। উভয়পক্ষ সংযত না হলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবারও ইনজুরিতে ইয়ামাল

ঈদগাহের নামকরণ নিয়ে দ্বন্দ্ব, দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ

খুলনায় ছেলের হাতে বাবা খুন

চাকসু নির্বাচন / ১৫ সেকেন্ডে দিতে হবে ১ ভোট

‘ভোটের অধিকার না থাকায় শ্রমজীবীরা বেশি অমর্যাদার শিকার’

এক গ্রামে ১১ জনের শরীরে মিলল অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ

থানায় জিডি করলেন সালাউদ্দিন টুকু

সংস্কৃতির ভেতরেই রাজনীতির সৃজনশীলতা নিহিত : দুদু

সাইফের চোখ বাঁচাতে প্রয়োজন ৩০ লাখ টাকা

সিরিজ জিততে বাংলাদেশের দরকার ১৪৮ রান

১০

জাতিসংঘে ড. ইউনূসের সফর গণতন্ত্র ও মানবিক সংহতির বার্তা : প্রেস সচিব

১১

বিরক্ত মেহজাবীন চৌধুরী

১২

জামায়াত অন্তত ১৬০টি আসন পাবে : সাদ্দাম

১৩

‘মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রী হয়রানির অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’

১৪

পার্বত্য অঞ্চলকে অশান্ত করে খোয়াব পূরণ হবে না : জাগপা

১৫

‘আসল শিবির হইলো আমার মা, বাড়ি এলেই জোর করে বোরকা পরায়’

১৬

উৎসবের আবহে উদযাপিত হলো টাইমস স্কয়ার দুর্গা উৎসব

১৭

অবশেষে মুখ খুললেন আরিয়ান খান

১৮

৮-৯ অক্টোবর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি নিয়ে কী বলছে মাউশি

১৯

গণভবন কখনোই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছিল না : উপ প্রেস সচিব

২০
X