খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনশনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে দেখা যায়।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১২টা থেকে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ জাবি শাখার ব্যানারে তারা এ অনশন শুরু করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মহুয়া চত্বরে আট জন শিক্ষার্থী অনশন করছেন। অনশনরত শিক্ষার্থীরা হলেন, তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম, আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল, জিয়াউদ্দিন আয়ান, নাজমুল হাসান লিমন, জান্নাতুল ফেরদৌস আনজুম, মেহরাব হোসেন তূর্য, নাহিদ হাসান ইমন ও সাজ্জাদ হোসেন।
গত ২১ এপ্রিল পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী কুয়েটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে ৩২ জন আমরণ অনশন শুরু করেন। বিকেল ৩টায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দার পূর্বদিকে অবস্থান নেন। এরপর সেখানে বিভিন্ন বিভাগের ৩২ জন শিক্ষার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে অনশন শুরু করেন। অনশনরত ৩২ শিক্ষার্থীর মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
অনশনরত বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন আয়ান বলেন, কুয়েটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আমরণ অনশনে বসেছি। অনশনরত শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যাচ্ছে কিন্তু এখন ইন্টেরিমের ঘুম ভাঙ্গছে না। লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় আসা ইন্টেরিম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গাদ্দারি করছে।
নৃবিজ্ঞান ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান লিমন বলেন, কুয়েটের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ ৪৮ ঘন্টা সময় ধরে অনশনে আছেন। এভাবে চলতে থাকলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বেন আমাদের মেধাবী প্রজন্ম। কোন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হলে এই দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারকেই নিতে হবে। ছাত্র জনতার রক্তের উপর দাড়িয়ে থাকা এই সরকার চোখ থাকতেও অন্ধের ন্যায় ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে। আমরা মনে করি কুয়েটের ভিসি খুনি হাসিনার মতো তার ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখতে চায়। কুয়েট ভিসি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে তাকে টেনেহিঁচড়ে গদি থেকে নামানো হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ছাত্রজনতার রক্তের উপর যে ইন্টেরিম সরকার বসে আছে, সেই সরকার শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে কর্ণপাত করছে না। কুয়েটের শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক দাবিতে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে অনশনে বসেছে, আমরাও তাদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়েছি।
মন্তব্য করুন