বৃষ্টি ও বিরূপ আবহাওয়া উপেক্ষা করে চার দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্যআপা প্রকল্পের কর্মীরা। এ সময় তারা দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
অবস্থান ও আমরণ অনশন কর্মসূচি থেকে তথ্যআপা (২য় পর্যায়) কর্মীরা যেসব দাবি তোলেন সেগুলো হলো- মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন তথ্যআপা প্রকল্পে (২য় পর্যায়) কর্মরত জনবলকে সমগ্রেডে পদসৃজনপূর্বক রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। যেহেতু রাজস্ব খাতে স্থানান্তর সময় সাপেক্ষ সুতরাং প্রকল্পের মেয়াদ তিন থেকে পাঁচ বছর বাড়াতে হবে। তারা জানান, পদসৃজন করে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর সম্ভব না হলে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের শূন্যপদের ভিত্তিতে সমগ্রেডে জনবলকে আত্তীকরণ করতে হবে। তথ্যআপা জনবলের কেটে নেওয়া বেতন ও ভাতাগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
তথ্যআপা প্রকল্পের কর্মীরা জানান, নিয়োগের সময় তাদের যে বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তিন মাস পর তা রক্ষা করা হয়নি। সে সময় মফস্বল ও গ্রাম পর্যায়ে যেসব জনবল রয়েছে তাদের বেতন কেটে নেওয়া শুরু হয়। তারা অভিযোগ জানান, রাজস্ব খাতে জনবল স্থানান্তরের সুবিধার কথা বলে বেতন কেটে নেওয়া হলেও তার কোনো বাস্তবায়ন করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
তারা জানান, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে তিন দফায় পরীক্ষা নিয়ে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে তথ্যআপা প্রকল্পের ৩য় পর্যায় শুরুর কথা বলে তাদের আউটসোর্সিং কর্মী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানানো হয়। এ সময় তারা সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টা একজন নারী হয়েও নারীদের সঙ্গে বৈষম্য করছেন বলে অভিযোগ করেন। তারা জানান আন্দোলনের কয়েকদিন পার হলেও সংশ্লিষ্ট কেউ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
তথ্যআপা প্রকল্পের কর্মীরা জানান, তাদের অনেক সময় উৎসব ভাতা দেওয়া হয় না। বিশেষ করে অমুসলিম কর্মীরা অনেক সময় উৎসব ভাতা পান না। এমনকি মাতৃত্বকালীন ছুটি অনুমোদনেও তাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয় বলে অভিযোগ করেন তারা।
মন্তব্য করুন