নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) তিন শিক্ষার্থী বাসে করে চট্টগ্রাম থেকে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন। ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
শনিবার (১২ জুলাই) রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী হাজীপুর এলাকার আল বারাকা হাসপাতাল সংলগ্ন কাজী অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) বিভাগের ১৯তম ব্যাচের ছাত্র—অনিমেষ দেব নাথ, সৌমেন বড়ুয়া ও কাজী মো. সাউদুজ্জামান।
ভুক্তভোগী অনিমেষ দেব নাথ বলেন, আমরা বাঁধন প্লাজা পরিবহনের বাসে করে চট্টগ্রাম থেকে ফিরছিলাম। চৌমুহনী পৌঁছানোর পর হঠাৎ একদল সন্ত্রাসী আমাদের ওপর চড়াও হয়। আমাকে হত্যার উদ্দেশে গলা চেপে ধরার চেষ্টা করে এবং অন্যরা এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে।
তিনি জানান, হামলায় তার এবং অপর দুই শিক্ষার্থীর শরীরে জখম হয়। দুর্বৃত্তরা তার পকেট থেকে ছয় হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ছবি ও ভিডিও ডিলিট করে। বাস থেকে নামার পর প্রতিবাদ করতে গেলে নোবিপ্রবির পরিচয় শুনে স্থানীয়রা আরও আগ্রাসী আচরণ করেন।
‘তারা হুমকি দিয়ে বলেন, মামলা করলে মেরে ফেলে লাশ গুম করে ফেলবে’- অভিযোগ অনিমেষের।
ঘটনার পর অনিমেষ বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং রোববার (১৩ জুলাই) ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে চৌমুহনীতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ এফ এম আরিফুর রহমান বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।
মন্তব্য করুন