কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থী ও তার মাকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করা হলে শহর অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা এ আলটিমেটাম দেন।
নিহতরা হলেন- কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন (২৪) ও তার মা ফাতেমা আক্তার রুমা (৫০)।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘বিচার চাই, বিচার চাই, আমার বোন কবরে, খুনি কেন বাহিরে, সুমাইয়ার রক্ত বৃথা যেতে দেব না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। তারা জানান, হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন তারা।
মানববন্ধনে কুবি শিক্ষার্থী হাসান অন্তর বলেন, রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে সুমাইয়া ও তার মাকে ভাড়া বাসায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা হুঁশিয়ারি দিচ্ছি, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সঠিক তদন্ত ও গ্রেপ্তার না হলে পুরো কুমিল্লা শহর অচল করে দেওয়া হবে।
লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মুনিয়া আফরোজ বলেন, আমাদের সহপাঠী ও তার মায়ের নির্মম হত্যাকাণ্ডে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমরা চাই দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত হোক এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক, যেন আর কোনো পরিবার এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
কুমিল্লা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী বলেন, সন্দেহজনকভাবে একজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। ১২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেব। এ ছাড়া কিছু আলামত পাওয়া গেছে, তবে তদন্তের স্বার্থে তা এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে রোববার রাতে কুমিল্লার উত্তর কালিয়াজুড়ি এলাকার নেলী কটেজে ভাড়া বাসা থেকে সুমাইয়া আফরিন রিন্তী ও তার মা ফাতেমা আক্তার রুমার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তাদের গলায় কালো দাগ ও বিছানায় রক্তের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
মন্তব্য করুন