রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মারকে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা ফটকে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন তারা।
সালাহউদ্দিন আম্মার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি আসন্ন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে স্বতন্ত্র জিএস ও সিনেট সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অভিযোগ রয়েছে, গত শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) অনুসারীদের নিয়ে আম্মার উপউপাচার্য (প্রশাসন) মাঈন উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও ছাপাখানা কর্মকর্তা রবিউল ইসলামকে লাঞ্ছিত করেন। এর প্রতিবাদে মতিহারের সচেতন এলাকাবাসীর ব্যানারে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়— প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে স্থানীয়রাই আম্মারকে প্রতিহত করবেন।
কাজলা কেডি ক্লাবের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ডলার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কেউ যা খুশি করতে পারবে না। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে কলুষিত করার চেষ্টা হলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।
ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল বাবু বলেন, শিক্ষক লাঞ্ছনার পরও অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রয়োজনে আমরা নিজেরাই বিচার করব। আমরা ঘুমন্ত বাঘ, আমাদের জাগাবেন না।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কর্মচারী আলমগীর হোসেন। পরিচালনা করেন হায়দার আলী। এর আগে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলেও প্রধান ফটকে একই কর্মসূচি পালিত হয়। মঙ্গলবার বিকেলেও বিনোদপুর বাজারে কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ বিষয়ে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। স্থানীয়রা কেন জড়াচ্ছেন বুঝতে পারছি না। কার উদ্দেশ্যে এটি হচ্ছে, তদন্ত হওয়া উচিত।
এদিকে শনিবারের ঘটনার পর শিক্ষক ও কর্মকর্তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন। এ কারণে পিছিয়েছে রাকসু নির্বাচন। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর হওয়ার কথা থাকলেও নতুন তারিখ ঠিক হয়েছে ১৬ অক্টোবর।
মন্তব্য করুন