কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে উত্ত্যক্ত ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী কুমিল্লার লাকসাম রেলওয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন- তানভীর হোসেন নাজিম, ফাহিম হাসান অনিক, তাহমনি আহাম্মেদ, মো. নাঈম উদ্দিন ও মো. ফাহিম হোসেন। ৯ জনকে অভিযুক্ত করে দায়ের করা অভিযোগে আটককৃতরা ছাড়া আরও কয়েকজনের নাম রয়েছে। তারা হলেন- তাহামিন আহম্মেদ, মো. নাঈম উদ্দিন, ফাহিম হোসেন ও মো. নাজমুল।
ভুক্তভোগী নারী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুর্গাপূজার ছুটি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেরার উদ্দেশ্যে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন মনতলা রেলস্টেশনে এলে আটককৃত ব্যক্তিরা ছাড়াও আরও কয়েকজন ওই নারীকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন ধরনের কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে। তাদের বাজে আচরণে আপত্তি জানালে আরও খারাপ ভাষায় গালাগালি এবং উত্ত্যক্ত করতে থাকে। একপর্যায়ে বিকাল পাঁচটার দিকে দূর্গাপুর ইউনিয়নের শাসনগাছা রেলস্টেশনে তানভীর হোসেন নাজিম অন্যান্যের সহায়তায় যৌন হয়রানির উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে।
অভিযোগের অন্যতম সাক্ষী এবং ভুক্তভোগীর স্বামী আতিকুর রহমান শিপন জানান, ট্রেনে ওঠার পর কিছু ছেলে আমার এবং আমার স্ত্রীর সঙ্গে বাজে আচরণ করতে থাকে৷ তাদের মানা করলে তারা উল্টো আমাদের হুমকি দিতে থাকে। আমার স্ত্রীকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করে। পরে রেলওয়ে পুলিশ এবং থানার পুলিশের মাধ্যমে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছিলাম ট্রেনে কিছু ছেলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং করছে। এটি শুনে আমরা ঘটনাস্থলে যায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সহায়তায় আমরা ৫ জনকে আটক করি। বিষয়টি যেহেতু ট্রেনে, তাই আমরা লাকসাম রেলওয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করার জন্য বলেছি।’
ওসি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ট্রেনে একটি মেয়েকে ইভটিজিংকে ঘিরে অভিযোগপত্র দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে।
মন্তব্য করুন