জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সুন্দর সমাজ গঠনে সৃজনশীলতাকে প্রাধান্য দিতে হবে : সাদিক কায়েম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনীতে বক্তব্য দেন সাদিক কায়েম। ছবি : কালবেলা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনীতে বক্তব্য দেন সাদিক কায়েম। ছবি : কালবেলা

সুষ্ঠু রাজনীতি ও যৌক্তিক সমাজ গঠনের জন্য সৃজনশীলতাকে প্রাধান্য দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ঢাকসু) ভিপি ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ সাজিদ স্মৃতি আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় সাদিক কায়েম বলেন, সুষ্ঠু রাজনীতির যে চিন্তা, তার সবকিছু আমরা সৃজনশীলতার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে চাই। শিবির সবসময় সৃজনশীলতাকে প্রমোট করে, কারণ সুন্দর সমাজ, সুন্দর ক্যাম্পাস ও সুন্দর দেশ গঠনে এর ভূমিকা অপরিসীম।

তিনি আরও বলেন, যৌক্তিক সমাজ গঠনের জন্য বিতর্কের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিতর্কের মাধ্যমে সমাজের সমস্যাগুলোকে সামনে আনতে চাই। এতে যুক্তিনির্ভর চিন্তার বিকাশ ঘটে এবং ইতিবাচক পরিবর্তনের সুযোগ সৃষ্টি হয়।

ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে গিয়ে আমরা দল-মত নির্বিশেষে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। গত ১৬ বছর আমরা মুক্তির জন্য লড়াই করেছি।

তিনি অভিযোগ করেন, গণমাধ্যম, সিভিল সমাজ ও কিছু ব্যবসায়ী সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। মুখে মুক্তির কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ওপর নির্যাতন চালানোর বৈধতা দেওয়া হয়েছিল। তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবীও এতে ভূমিকা রেখেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা আজ স্বাধীনতা অর্জন করেছি। ৫ আগস্টের পর সবাই বাকস্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে। কিন্তু এর আগে এমন পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল, কেউ যদি শিবির করে, তার কোনো অধিকার থাকবে না।’

গুম কমিশনের তথ্য উদ্ধৃত করে তিনি দাবি করেন, সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার হয়েছে জামায়াত ও শিবির। একক সংগঠন হিসেবে বিএনপির পরই শিবিরের অবস্থান।

শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের প্রথম দাবি ছিল প্রতিটি ক্যাম্পাসে ছাত্রসংসদ নির্বাচন। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞানের আতুরঘর। এখানে জ্ঞানচর্চা ও জ্ঞান উৎপাদন হবে— যা সমগ্র সমাজের উন্নয়নে ‘হাব’ হিসেবে কাজ করবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. বিলাল হোসাইন। তিনি বলেন, বিতর্ক মানুষকে ভাবতে শেখায়। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি— যারা বিতর্ক করে, তারা পরীক্ষায় ভালো ফল করে এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসি মূলত ভালো মানুষ হওয়ার জন্য। যদি বিশ্ববিদ্যালয় তা করতে ব্যর্থ হয়, তবে জাতীয় পর্যায়ে তার কোনো ইতিবাচক অবদান থাকবে না। আমাদের হতে হবে জ্ঞাননির্ভর।

উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র শহীদ একরামুল হক সাজিদ স্মৃতি আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মোট ২৪টি দল অংশ নেয়। চূড়ান্ত পর্বে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগকে হারিয়ে ইতিহাস বিভাগ বিজয়ী হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

১৯ দেশের গ্রিন কার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন করবে যুক্তরাষ্ট্র, তালিকায় যারা

সৃজিতের সিনেমায় বদলে গেল নায়িকা

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে ফুল পাঠিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

হংকংয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিহত অন্তত ৯৪

শুষ্ক আবহাওয়ায় ঢাকায় তাপমাত্রা নেমে ১৮ ডিগ্রিতে

ভূমিকম্পের ‘উচ্চ ঝুঁকিতে’ মধুপুর ফল্ট, শঙ্কিত টাঙ্গাইলবাসী

২৮ নভেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

ওয়াশিংটনে গুলিবর্ষণ, নিহত ন্যাশনাল গার্ড সদস্য

আজ টানা ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

পাকিস্তানিদের ভিসা দিচ্ছে না আমিরাত, কিন্তু কেন?

১০

বিএনপি প্রার্থীর বহরে থাকা গাড়িতে আগুন, দগ্ধ ৪

১১

শুক্রবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১২

২৮ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৩

চলন্ত বাসের খোলা লকারের ধাক্কায় যুবক নিহত

১৪

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ

১৫

পাবনায় নির্বাচনী প্রচারণায় জামায়াতের হামলার তীব্র নিন্দা বিএনপির

১৬

পুষ্টিগুণে ভরপুর রোজেল পানীয়

১৭

প্রশাসন ও গণমাধ্যম একে অপরের পরিপূরক : ডিসি অন্নপূর্ণা

১৮

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা

১৯

আ.লীগ নেতা মুকুল গ্রেপ্তার

২০
X