র্যাগিং, পরীক্ষায় অসাধু উপায় অবলম্বন (নকল) ও শিক্ষার্থী নিপীড়নসহ নানা কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে নানা মেয়াদে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের ৬২ তম সভায় বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বোর্ডের সদস্য সূত্রে জানা যায়, সাময়িক বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের অধিকাংশের পরীক্ষায় অসাধু উপায় অবলম্বন করায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ভূমি ব্যবস্থাপনা আইন, পদার্থ বিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, রসায়নসহ নানা বিভাগের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে নকল করায় কারো এক সেমিস্টার, কারো দুই সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এই দুই শিক্ষার্থীর ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
অন্যদিকে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আশিকুল ইসলাম আশিক নামে এক ছাত্রকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া আশিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়নবিরোধী সেলে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, বহিষ্কার শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই পরীক্ষায় নকলের জন্য। কারো এক সেমিস্টার, কারো দুই সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেকের কাছে নকল পাওয়া গেছে কিন্তু নকল করেনি এমন যারা আছে তাদের কোর্স বাতিল করা হয়েছে।
প্রক্টর মোস্তফা কামাল আরও বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কারো কাছে নকল পাওয়া গেলে আর সে যদি নকল না করে থাকে তাহলে কোর্স পরীক্ষা বাতিল করা হয়। কেউ নকল করলে ১ সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়। আর যদি খাতা নেওয়ার সময় শিক্ষার্থী বাধা দেয় তাহলে দুই সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া অপরাধের নানা ধরন দেখে বহিষ্কার করা হয়। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ছোট অপরাধ হলে শিক্ষার্থীদের দিকটি আমরা দেখি। আর অভিযোগ গুরুতরভাবে প্রমাণিত হলে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
মন্তব্য করুন