খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেছেন, বর্তমান সময়ে কম্পিউটার শিক্ষা অত্যন্ত জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজের ক্ষেত্রেও সবাইকে কম্পিউটারে দক্ষ হয়ে উঠতে হবে। কারণ, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দক্ষ মানবসম্পদ হয়ে গড়ে উঠতে কম্পিউটারে দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) উদ্যোগে সোমবার (৬ নভেম্বর) ‘ওরিয়েন্টেশন টু এমএস ওয়ার্ড অ্যান্ড এক্সেল’ শীর্ষক এক প্রশিক্ষণে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবনের ডিভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিনের কম্পিউটার ল্যাবে অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
উপাচার্য আরও বলেন, সময়ের সঙ্গে প্রযুক্তির বিবর্তনে নিজেদের খাপ খাওয়ানো বড় একটা বিষয়। কম্পিউটারে উইন্ডোজ আসার সঙ্গে সঙ্গে বিপ্লবও এসেছে। অফিসিয়াল, ব্যবসা-বাণিজ্য ও দৈনন্দিন কার্যক্রম সম্পাদনে কম্পিউটারের অ্যাপলিকেশন আবশ্যিকভাবে প্রয়োজন। এজন্য সরকার প্রাথমিক স্কুল থেকে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের মাধ্যমে কোমলমতি শিশুদের কম্পিউটারের সঙ্গে পরিচিত করছে।
তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনন্য। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে এখানে ডি-নথি চালু হয়েছে। তাই ফাইল ওয়ার্কে গতিশীলতা এসেছে। স্বচ্ছতা-জবাবদিহি নিশ্চিতে ডি-নথির বিকল্প নেই- এজন্য প্রায় সব দপ্তরে এটি চালু করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে উঠলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে দেশও এগিয়ে যাবে। তাই নিজেদের কর্মদক্ষতা দিয়ে দেশের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখতে হবে।
এ সময় প্রশিক্ষণ আয়োজনের জন্য আইকিউএসির পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান উপাচার্য।
আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মতিউল ইসলাম।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. জগদীশ চন্দ্র জোয়ারদার।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইকিউএসির উপরেজিস্ট্রার মো. নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী।
প্রশিক্ষণে রিসোর্স পারসন হিসেবে টেকনিক্যাল সেশন পরিচালনা করেন আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার, অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মতিউল ইসলাম, প্রফেসর ড. জগদীশ চন্দ্র জোয়ারদার ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান। প্রশিক্ষণে মোট ৩৮ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন