‘বাংলাদেশ এনিমেল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল আইন-২০২৩’ প্রণয়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে ভেটেরিনারি ছাত্র সমিতি। সংবাদ সম্মেলনে তারা দাবি জানান, ‘বাংলাদেশ এনিমেল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল আইন-২০২৩’ প্রণয়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে ভেটেরিনারি এবং এনিমেল হাজবেন্ড্রি গ্রাজুয়েটদের দ্বন্দ্ব নিরসনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে কর্মরত এন্ট্রি লেভেলে কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কোর্স চালুর সিদ্ধান্ত এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সমন্বিত কোর্স চালু করতে হবে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে ‘এক মন্ত্রণালয়ে দুই কাউন্সিল মানি না, অবৈধ কাউন্সিল মানি না, প্রাণিসম্পদের একটাই কাউন্সিল ভেটেরিনারি কাউন্সিল, সচিবের পক্ষপাতিত্ব মানি না মানব না’ লেখা সংবলিত পোস্টার দেখা যায়।
এ বিষয়ে ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সাইন্সেস বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কায়েস মাহাবুব সাকিব বলেন, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল দীর্ঘদিন ধরে ভেটেরিনারি পেশার স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে। হঠাৎ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এটা প্রাণিসম্পদের পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও সংঘাত সৃষ্টির পাঁয়তারা ছাড়া আর কিছু নয়। আমরা এই একপাক্ষিক ও সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানে কিন্তু শুধুমাত্র ভেটেরিনারি কাউন্সিল রয়েছে, এনিমেল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল নামে কোনো কাউন্সিল নেই। আমাদের দাবি একটাই, অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হোক। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন অব্যাহত রাখব।
ভেটেরিনারি ছাত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সাইন্সেস বিভাগের শিক্ষার্থী আল আমিন মোল্লা বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশিদ তার ব্যক্তিগত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বাংলাদেশ এনিম্যাল হাজবেন্ডারি কাউন্সিল ২০২৩ বাস্তবায়ন করা হবে। কিন্তু বাংলাদেশের ভেটেরিনারি কাউন্সিল ২০১৯ এর তত্ত্বাবধানে প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত আছে। এই অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নেওয়া এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
ভেটেরিনারি ছাত্র সমিতির প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান মুরাদের সঞ্চালনায় এ সময় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন