কুবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ফের ক্লাস বর্জনের ঘোষণা কুবি শিক্ষক সমিতির

কুবি ক্যাম্পাস। ছবি : কালবেলা
কুবি ক্যাম্পাস। ছবি : কালবেলা

শিক্ষকদের দাবি না মানায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১৯ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

সোমবার (১৮ মার্চ) বিকেল ৩টায় প্রশাসনিক ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতারা এ কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ড. মাহমুদুল হাসান খান বলেন, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক সমিতি গঠিত হয়। পরে পাঁচবার লিখিতভাবে আমাদের দাবিগুলো প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু উপাচার্য জানান, তিনি নাকি আমাদের এসব পড়ার সময় পাননি। আমরা দাবি আদায়ে ১৩ ও ১৪ মার্চ ক্লাস বর্জন করি এবং লিখিত দেই। তাও তিনি ভ্রূক্ষেপ করেনি। তিনি বলেন, ‘আমি এ পরিস্থিতিকে কোনো সংকট মনে করি না, তোমাদের যা ইচ্ছে করতে পারো। যদি কোর্টে যেতে চাও, যেতে পারো।’

তিনি আরও বলেন, আমরা শিক্ষকদের কাজ কী কোর্টে কোর্টে দৌঁড়ানো। আমরা প্রধানমন্ত্রী, ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা এসে তদন্ত করুন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট নিরসনে আপনাদের সাহায্য প্রার্থনা করছি। উপাচার্যের এমন অসহযোগিতামূলক আচরণ ও দাবি আদায়ে অনিচ্ছা থাকায় আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ১৯ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত সব ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবু তাহের বলেন, আমরা শিক্ষক সমিতি যে দাবিগুলো দিয়ে ছিলাম আমরা মনে করেছি ভিসি আমাদেরকে ডাকবে। ওনি এসব নিয়ে আমাদের সঙ্গে বসেনি। আমাদের ছাত্রদের কাছ থেকে দূরে থাকতে কষ্ট লাগে তাই আমরা সদয় হয়ে ওনার কাছে গিয়েছি। আমরা চাই না বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা সংকটে পড়ে ক্লাস না করে সেশন জট আটকে যাক। কিন্তু ভিসি এসবকে কোনো কিছুই মনে করেন না। এতদিন আমরা যে চিঠির পর চিঠি দিয়েছি এসব দেখনি। এর মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে, ওনি এসব সংকট সমাধান করতে চাচ্ছেন না।

ক্লাস বর্জনের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, শিক্ষক সমিতি আমার কাছে একটা চিঠি দিয়েছিল। এ বিষয়ে আমি তাদের সঙ্গে কার্যালয়ে বসে কথা বলি। তাদের পক্ষ থেকে শুধু সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক কথা বলবে। কিন্তু তারা ব্যক্তিগত আলাপ শুরু করে দিয়েছিল। একপর্যায়ে তারা বলেন, আমরা এখানে কথা বলতে না পারলে এখানে কেন আসছি? পরে তারা চলে যায়।

তাদের দাবির বিষয়ে উপাচার্য বলেন, তাদের বলেছি আপনাদের দাবি আইনসম্মত হলে আমি মেনে নেব। ক্লাস বর্জনের বিষয়ের আমি তাদের অনুরোধ করেছি। আপনারা ক্লাস বর্জন করবেন না। এতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ ও ১৪ মার্চ ৭ দফা দাবিতে ক্লাস বর্জন করেছিল শিক্ষক সমিতি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সুখবর পাচ্ছেন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে অনুত্তীর্ণরা

‘হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে থুতু ছিটিয়েছিলেন শেখ হাসিনা’

ভারতে রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ১২

গাজায় যুদ্ধবিরতি ঠেকাতে মরিয়া ইসরায়েলের এই মন্ত্রী

ইসলামী ব্যাংকিংয়ের কল্যাণভিত্তিক বিনিয়োগ পদ্ধতিসমূহ

এশিয়া কাপ ইন্টারন্যাশনাল ল’ মুট কোর্ট প্রতিযোগিতায় যাচ্ছে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি

ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছে ইসরায়েলিরা, গ্রেপ্তার ৩

সিদ্ধান্ত বদলেছেন মুরাদনগরের সেই নারী, চালাবেন মামলা

আগুন নেভাতে গিয়ে গুলিতে ফায়ার সার্ভিসের ২ কর্মী নিহত

দুদিন পর কাজে ফিরেছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা

১০

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ 

১১

নিলামের মঞ্চে শেবাগ-পুত্র ও কোহলির ভাতিজা

১২

১৪৪ ধারা ভেঙে যমুনা যাওয়ার চেষ্টা, পুলিশের বাধা

১৩

মহাসমাবেশের ঘোষণা খতমে নবুওয়াতের

১৪

পেছাতে পারে ভারতের বাংলাদেশ সফর

১৫

‘ভিআইপি গেটের স্ক্যানারে অস্ত্রের ম্যাগাজিন ধরা পড়ল না কেন’

১৬

‘মরি নাই রে ভাই!’ মাহি নিজেই দিলেন জীবিত থাকার খবর

১৭

১ জুলাই ঢাকায় জুলাই ঐক্যের পদযাত্রা

১৮

ডিসেম্বর না মে—কবে মাঠে গড়াবে বিপিএল?

১৯

‘দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র গঠনে সহায়তা করবে ব্যবসায়ীরা’

২০
X