

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি সাদিক কায়েমের মন গলাতে একদল শিক্ষার্থীরা ব্যতিক্রমী মোনাজাত করেছেন। এ সময় তারা তিন দফা দাবি উপস্থাপন করেন।
শনিবার (২২ নভেম্বর) রাত ২টা ২৬ মিনিটে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এই মোনাজাত করেন শিক্ষার্থীরা।
মোনাজাতে উপাচার্যের উদ্দেশে তারা বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থীর গুরু দায়িত্ব আল্লাহ তাকে দিয়েছেন। এই গুরুদায়িত্ব যাতে তিনি পালন করতে পারেন সেই সব সক্ষমতা তাকে দান করেন।
ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েমের উদ্দেশে মোনাজাতে শিক্ষার্থীরা বলেন, যেই ডাকসুকে আমরা সব শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলাম। অথচ এই ডাকসু হওয়ার কথা ছিল শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর। এই ডাকসু হওয়ার কথা ছিল শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের কণ্ঠর। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের কোন নেতাকর্মীরা আমাদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত দেখা করতে আসতে পারেন নাই।
মোনাজাত আরও বলেন, আমরা দেখতে পেয়েছি ডাকসুর ভিপি সারাদিন ধরে দাঁড়িপাল্লার ভোট চেয়ে ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য তিনি সারা দেশে ক্যাম্পেইন করে যাচ্ছেন। তার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে ঘুমাতে পারছে না ভয়ের চোটে, আতঙ্কের চোটে তারা ভিসি চত্বরে অবস্থান করছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভিপি তো আসতে পারেন নাই, তার কোনো প্রতিনিধিকেও তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য পাঠাতে পারেন নাই।
মোনাজাতে আরও বলা হয়, আল্লাহ তোমার কাছে দাবি জানায় তুমি ডাকসুর ভাইদেরকেও আমাদের প্রতি সহমর্মী হওয়ার তৌফিক দান করো। আল্লাহ সারাদেশের সব শ্রেণিপেশার মানুষের নিরাপত্তা তুমি দান করো।
মোনাজাত শেষে বলা হয়, দ্বিচারিতাকারী প্রশাসন, দ্বিচারিতাকারী ছাত্র সংসদকে তুমি হেদায়েত দান করো আল্লাহ। তাদের মুনাফিকী সব ধরনের ষড়যন্ত্র সব ধরনের লিয়াজোঁ থেকে তাদেরকে তুমি হেফাজত করে শিক্ষার্থীবান্ধব হওয়ার তৌফিক দান করো। সবাইকে নিয়ে আমাদের এই দোয়া যেন কবুল হয় সেই আশা ব্যক্ত করে আমরা আমাদের মোনাজাত শেষ করলাম। সুবহানাকলা রাব্বিকা রাব্বি.....আলা মুরসালিন আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবিগুলো হলো- বাধ্যতামূলক হল বন্ধ ঘোষণা স্থগিত করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ আবাসনের ভিজিবল সল্যুশন দেখাতে হবে; স্বাধীনতা টাওয়ারে ঝুঁকিপূর্ণ হলের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ আবাসন নিশ্চিত করতে হবে যতদিনে না নতুন ভবনগুলোর কাজ শেষ হবে এবং উপরোক্ত ২ দফা মেনে নিয়ে বন্ধ ঘোষণা করলে কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষকদের কোয়ার্টারসহ পুরো বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করতে হবে।
মন্তব্য করুন