সারা দেশে শিক্ষকদের মাঝে বিরাজমান উৎকণ্ঠা ও অসন্তুষ্টি লাঘব করার জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এ কর্মবিরতি পালন করা হয়।
অনতিবিলম্বে শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তকরণ এবং স্বতন্ত্র বেতন স্কেলসহ তিন দফা দাবিতে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে চতুর্থ কর্মসূচি হিসেবে কর্মবিরতি পালন করছেন শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির নেতারা।
শাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীরের সঞ্চালনায় ও অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. এস. এম. সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আজিজুল বাতেন, অধ্যাপক. ড. সৈয়দ আশরাফুর রহমান, অধ্যাপক মো. মহিবুল আলম, অধ্যাপক ড. ফরহাদ রাব্বী, অধ্যাপক ড. রাজিয়া সুলতানা ও সহযোগী অধ্যাপক স্থপতি ইফতেখার রহমান।
এ সময় বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বৈষম্যমূলক সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অন্তর্ভুক্তকরণ দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের গভীর নীল নকশার প্রতিফলন। এই প্রজ্ঞাপনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিভক্তিকরণের মাধ্যমে দুটি শ্রেণির জন্ম হবে, যা চরম বৈষম্যমূলক ও অপমানজনক। অধিকন্তু, এর ফলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা নামক মহান পেশা থেকে দূরে সরে যাবেন, বিদেশে মেধা পাচারের প্রবণতা বাড়বে এবং অতি শিগগিরই জাতি মেধাশূন্য হয়ে পড়বে, যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আধুনিক স্মার্ট, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে গভীর অন্তরায় সৃষ্টি করবে। এমতাবস্থায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এই অগ্রহণযোগ্য, অন্যায্য, অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন বাতিলের যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে এবং দাবি বাস্তবায়নে অদ্যাবধি কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কঠিন থেকে কঠিনতর আন্দোলনের দিকে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। যদি দাবি আদায় না হয় তবে আগামী ৪ জুন অর্ধ দিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ, ২০২৪ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কতৃর্ক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সকল শিক্ষক ১ জুলাই, ২০২৪ তারিখের পর যোগদান করবেন তাদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং তাদের ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার জন্য বিদ্যমান অবসর সুবিধা সংক্রান্ত বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে না।
মন্তব্য করুন