সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দুই ছাত্রের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক হারুনুর রশিদ এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন উপদেষ্টা মো. তাজউদ্দিন। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী স্বাগত দাস (পার্থ) ও শান্ত তারা (আদনান)।
তাজউদ্দিন বলেন, মামলার তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক শেষে আদালতের বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না, তা জানার জন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে সকাল পৌনে ১০টায় আসামিদের আদালতের হাজির করা হয়। বেলা ১১টায় রিমান্ডের শুনানি চলাকালে আদালত চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে তারা আদালতের এজলাস কক্ষের বারান্দায় অবস্থান নেন। পরে পুলিশ তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসামি দুজনকে আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে নেওয়া হয়।
গত ২ মে সন্ধ্যায় সহপাঠী আদনান ও পার্থের সাথে কনসার্টে যাওয়ার কথা ছিল ওই ছাত্রীর। কনসার্টে যাওয়ার আগে কৌশলে তারা ওই ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী সুরমা আবাসিক এলাকার একটি মেসে নিয়ে যায়। পরে অচেতন করে তাকে রাতভর ধর্ষণ ও আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে আদনান ও পার্থ। সকালে তারা নির্যাতিত ওই ছাত্রীকে ঘটনাটি জানায়। এরপর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ও ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তারা ছাত্রীটিকে ব্ল্যাকমেইল করে আসছিল।
গত বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দেয়। ওই দিনই ধর্ষণ ও আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে অভিযুক্ত দুই ছাত্রকে আটক করে পুলিশ। পরে শুক্রবার বিকেলে ছাত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ওই দুই ছাত্রসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
এদিকে, ধর্ষণের অভিযোগে প্রক্টর অধ্যাপক মো. মোখলেসুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মন্তব্য করুন