হাইকোর্টের জারিকৃত সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবিতে একক অবস্থান কর্মসূচি করেন চবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়ব আহমেদ সিয়াম। এ সময় তিনি ‘শতভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটার দাবিতে মানববন্ধন’ লেখা প্লেকার্ড হাতে নিয়ে ‘ব্যাঙ্গাত্মক’ প্রতিবাদ জানান।
শনিবার (৮ জুন) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায় তাকে। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি সরকারি চাকরি এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা উভয় ক্ষেত্রে শতভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কোটার পক্ষে হলেও আমার দাদা-নানা কেউই যুদ্ধ করেননি। এ ব্যাপারে আমি অনুতপ্ত। সম্ভব হলে তাদের কবর থেকে তুলে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতাম। এখন আমার অনুতাপ মেটাতে এবং ছেলেমেয়ের জন্য কোটা নিশ্চিত করতে চারজন মুক্তিযোদ্ধার নাতনিকে বিয়ে করতে চাই’।
কোটাবিহীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘জন্মের পূর্বেই ভ্রূণের ক্ল্যাসিফিকেশনের মাধ্যমে পূর্ণ বর্ণবাদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কোটাধারীরা হবেন ব্রাহ্মণ। তারাই শুধু পড়াশোনা ও উচ্চপদে চাকরির সুযোগ পাবে। কোটা সমর্থনকারীরা হবে ক্ষত্রীয় ও বৈশ্য। তারা ভার্সিটিতে মুড়ি বিক্রির লাইসেন্স পাবেন।’
সিয়াম আরও বলেন, ‘আমি তিন দফা দাবি নিয়ে একক মানববন্ধন অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আমার দাবিগুলো হলো- প্রথমত, শতভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাস্তবায়ন করতে হবে। দ্বিতীয়ত, জন্মের পূর্বেই ভ্রূণের ক্ল্যাসিফিকেশনের মাধ্যমে পূর্ণ বর্ণবাদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তৃতীয়ত, আমার সঙ্গে চারজন মুক্তিযোদ্ধার নাতনিকে বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।’
সবাই যেখানে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের জন্য প্রতিবাদ জানাচ্ছে সেখানে সিয়াম শতভাগ কোটার পক্ষে কেন দাঁড়াচ্ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সিয়াম বলেন, ‘আমার দাবি আপনাদের কাছে তামাশা মনে হলে রাষ্ট্রও আমাদের সঙ্গে আরও বড় তামাশা করছে।’
‘মুক্তিযোদ্ধা ও হাইকোর্টের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন। যেদিন কোটাধারীরা নিজেরাই একযোগে কোটার বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। সেই দিন যদি না আসে তাহলে শতভাগ কোটার রাজত্ব কায়েম করে পূর্ণ বর্ণবাদ প্রতিষ্ঠার দাবি জানাচ্ছি।’
মন্তব্য করুন