বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৩, ১০:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন জবি শিক্ষার্থী ইব্রাহীম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে প্রাইজ মানি, সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট গ্রহণ করছেন মো. ইব্রাহীম আজাদ। ছবি : কালবেলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে প্রাইজ মানি, সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট গ্রহণ করছেন মো. ইব্রাহীম আজাদ। ছবি : কালবেলা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) থেকে প্রথমবারের মতো ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার অ্যাওয়ার্ড-২০২২’ হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন মো. ইব্রাহীম আজাদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি শিক্ষকতা কিংবা জাতীয় পর্যায়ে যোগাযোগ ও উন্নয়নভিত্তিক পেশায় কাজ করতে চান ইব্রাহীম।

রোববার (১১ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে প্রাইজ মানি, সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট গ্রহণ করেন তিনি। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সারা দেশ থেকে ১৬টি বিভাগে মোট ২২ জন শিক্ষার্থীকে এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার অ্যাওয়ার্ডের জন্য স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রিতে ৩.৭০ প্রাপ্ত ৪৮৩ শিক্ষার্থী আবেদন করেন। সেখান থেকে তাদের স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাজীবনে সব একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, সার্টিফিকেট, সহশিক্ষা কার্যক্রম, কাজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ৬৬ শিক্ষার্থীকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়। তার মধ্যে থেকে ২২ জন এ অ্যাওয়ার্ডয়ের জন্য মনোনীত হন।

জবি শিক্ষার্থী মো. ইব্রাহীম আজাদের বেড়ে ওঠা ঝালকাঠি জেলায়। শিক্ষাজীবনের শুরুতে আব্দুল ওহাব গাজী শিশু বিদ্যালয় ও ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালযয়ে পড়াশোনা করেছেন। পরবর্তীতে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি সম্পন্ন করেছেন। স্নাতক পর্যায়ে তিনি বিভাগে ৩.৭৫ সিজিপিএসহ প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত। এ ছাড়াও ব্র্যাকে দুটি ইন্টার্নশিপ ও বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে ইব্রাহীমের। শিক্ষাজীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতার স্বাক্ষর রাখেন এই জবি শিক্ষার্থী।

অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির বিষয়ে ইব্রাহিম আজাদ বলেন, আমার জন্য এই সম্মাননা একটা স্বপ্নের মতো। তবে এর পেছনের গল্প দেখতে বা শুনতে ছবির মতো এতটা সুন্দর নয়। আমার ক্ষুদ্র জীবনে কিছু সফলতার স্নিগ্ধতা মাকে দিতে পেরেছি। এটাই জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। আমার ক্যাডেট কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বড় বোন, দুলাভাইসহ যাদের সঠিক দিকনির্দেশনায় এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এশিয়া কাপে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত আজ

অস্কারে যাচ্ছে ইরানের ছবি 

এমবাপ্পের দুই পেনাল্টিতে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়

বাংলাদেশের জয়ের পর গ্রুপ ‘বি’ এর পয়েন্ট টেবিলের চিত্র

প্রথম বলে উইকেট আর ম্যাচ সেরা হওয়ার পর নাসুমের প্রতিক্রিয়া

জীবন দেব তবু ৭১ ও ২৪ রাজাকারদের হতে দেব না : ইশরাক

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের পর যা বললেন লিটন

একাদশে বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর

বাংলাদেশ পুলিশকে চীন দূতাবাসের কম্পিউটার উপহার

দলকে জিতিয়ে রেকর্ডের পাতায় নাসুম

১০

আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রধান চালিকাশক্তি হতে পারে ভারত-বাংলাদেশ

১১

রাহুল গান্ধীকে ‘পাকিস্তানের ডার্লিং’ বললেন ভারতের মন্ত্রী

১২

আফগানদের হারিয়ে এশিয়া কাপে টিকে রইল বাংলাদেশ

১৩

মোদির জন্মদিনে ট্রাম্পের ফোন

১৪

ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ ঘোষণা

১৫

পাকিস্তানের এশিয়া কাপ অভিযানে নতুন বিতর্ক!

১৬

বিএনপি-যুবদলের তিনজনকে অব্যাহতি

১৭

রাব্বানীর জিএস পদ অবৈধের সুপারিশে রাশেদের প্রতিক্রিয়া

১৮

বাংলাদেশ পুলিশকে চীন দূতাবাসের কম্পিউটার উপহার

১৯

নানা কর্মসূচিতে রাজধানীতে বিশ্ব নরসুন্দর দিবস পালিত

২০
X