জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) থেকে প্রথমবারের মতো ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার অ্যাওয়ার্ড-২০২২’ হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন মো. ইব্রাহীম আজাদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি শিক্ষকতা কিংবা জাতীয় পর্যায়ে যোগাযোগ ও উন্নয়নভিত্তিক পেশায় কাজ করতে চান ইব্রাহীম।
রোববার (১১ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে প্রাইজ মানি, সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট গ্রহণ করেন তিনি। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সারা দেশ থেকে ১৬টি বিভাগে মোট ২২ জন শিক্ষার্থীকে এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার অ্যাওয়ার্ডের জন্য স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রিতে ৩.৭০ প্রাপ্ত ৪৮৩ শিক্ষার্থী আবেদন করেন। সেখান থেকে তাদের স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাজীবনে সব একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, সার্টিফিকেট, সহশিক্ষা কার্যক্রম, কাজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ৬৬ শিক্ষার্থীকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়। তার মধ্যে থেকে ২২ জন এ অ্যাওয়ার্ডয়ের জন্য মনোনীত হন।
জবি শিক্ষার্থী মো. ইব্রাহীম আজাদের বেড়ে ওঠা ঝালকাঠি জেলায়। শিক্ষাজীবনের শুরুতে আব্দুল ওহাব গাজী শিশু বিদ্যালয় ও ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালযয়ে পড়াশোনা করেছেন। পরবর্তীতে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি সম্পন্ন করেছেন। স্নাতক পর্যায়ে তিনি বিভাগে ৩.৭৫ সিজিপিএসহ প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত। এ ছাড়াও ব্র্যাকে দুটি ইন্টার্নশিপ ও বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে ইব্রাহীমের। শিক্ষাজীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতার স্বাক্ষর রাখেন এই জবি শিক্ষার্থী।
অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির বিষয়ে ইব্রাহিম আজাদ বলেন, আমার জন্য এই সম্মাননা একটা স্বপ্নের মতো। তবে এর পেছনের গল্প দেখতে বা শুনতে ছবির মতো এতটা সুন্দর নয়। আমার ক্ষুদ্র জীবনে কিছু সফলতার স্নিগ্ধতা মাকে দিতে পেরেছি। এটাই জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। আমার ক্যাডেট কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বড় বোন, দুলাভাইসহ যাদের সঠিক দিকনির্দেশনায় এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
মন্তব্য করুন