কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

স্কুল-কলেজে ২৩ ধরনের ফি নির্ধারণে নীতিমালা জারি

গ্রাফিক্স : কালবেলা
গ্রাফিক্স : কালবেলা

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) টিউশন ফি ছাড়া চার ক্যাটাগরিতে ২৩ ধরনের ফি নির্ধারণ করেছে সরকার।

রোববার (০৩ নভেম্বর) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী স্বাক্ষরিত জারি করা পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মাধ্যমিক (এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান), মাধ্যমিক (নন-এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান), কলেজ (এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান) ও কলেজ (নন-এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান)। এ ছাড়া টিউশন ফি নির্ধারণের জন্য মহানগর ও জেলা সদরে আলাদা কমিটি করতে হবে।

নীতিমালায় অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা, মুদ্রণ, টিফিন, ম্যাগাজিন, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক উৎসব, বিভিন্ন জাতীয় দিবস উদযাপন, বিভিন্ন ক্লাব গঠন, লাইব্রেরি, কল্যাণ/দারিদ্র্য তহবিল, আইসিটি, বাগান ও বাগান পরিচর্যা, ল্যাবরেটরি, স্কাউট, কমনরুম, পরিচয়পত্র, নবীনবরণ-বিদায় সংবর্ধনা, চিকিৎসা সেবা, বিবিধ, উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, শিক্ষা সফর ফি ইত্যাদি খাতে কত টাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আদায় করতে পারবে এসব বিষয়েও নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এই ফি সর্বনিম্ন ১০ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা।

নীতিমালায় টিউশন ফি নির্ধারণে মহানগর ও জেলা কমিটি করা কথা বলা হয়েছে। মহানগর কমিটিতে সভাপতি হিসেবে থাকবেন-অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শিক্ষা ও আইসিটি/সার্বিক এবং সদস্যসচিব হিসেবে থাকবেন, আঞ্চলিক উপপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। সদস্য জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, এমপিওভুক্ত কলেজের একজন অধ্যক্ষ (শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক মনোনীত), নন-এমপিও কলেজের একজন অধ্যক্ষ (শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক মনোনীত), এমপিওভুক্ত স্কুলের একজন প্রধান শিক্ষক (শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক মনোনীত) নন-এমপিও স্কুলের একজন প্রধান শিক্ষক (শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক মনোনীত) ও উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

এছাড়া জেলা সদর পৌর এলাকার ও উপজেলার কমিটিতে সভাপতি থাকবেন—জেলা প্রশাসক, সদস্যসচিব হিসেবে থাকবেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। সদস্য হিসেবে থাকবেন উপজেলা পর্যায়ে এমপিওভুক্ত কলেজের একজন অধ্যক্ষ (শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক মনোনীত), পৌরসভা পর্যায়ে নন-এমপিও কলেজের একজন অধ্যক্ষ (শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক মনোনীত), উপজেলা পর্যায়ে এমপিওভুক্ত স্কুলের একজন প্রধান শিক্ষক (শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক মনোনীত) ও উপজেলা পর্যায়ে নন-এমপিও স্কুলের একজন প্ৰধান শিক্ষক (শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক মনোনীত) ও উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অক্টোবর মাসের মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রতিনিধি নির্বাচন করে কমিটির সভাপতিকে অবহিত করবে।

নীতিমালায় মাসিক বেতন/টিউশন ফি এবং তফসিলে বর্ণিত খাতে আদায়কৃত অর্থ তফসিলি ব্যাংকে নির্দিষ্ট হিসাবে রাখার কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, কোনো একক খাতে বার্ষিক আদায় ১০ লাখ টাকার অধিক হলে এ খাতের জন্য আলাদা ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে। আদায়কৃত অর্থ আবশ্যিকভাবে খাতভিত্তিক ব্যয় করতে হবে এবং এক খাতের অর্থ অন্য খাতে ব্যয় করা যাবে না। সব আয় ও ব্যয় ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কোন দেশের হাতে বিশ্বকাপ দেখতে চান গার্দিওলা?

মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি, জাবি শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার

কড়াইলের দুর্গতদের পাশে আনসার-ভিডিপির ৯ দিনের মানবিক সেবা কার্যক্রম সমাপ্ত

স্টার্কের দাপটে ব্রিসবেনে হারের পথে ইংল্যান্ড

নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে ‘রোকেয়া রান’ অনুষ্ঠিত

ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে যা বললেন জয়শঙ্কর

বাংলাদেশে আর কারও দাদাগিরি চলবে না : ডা. শফিকুর রহমান

যেভাবে এশিয়ার সবচেয়ে দুর্বল মুদ্রায় পরিণত হলো ভারতীয় রুপি

১০

আইপিএল নিলামে বিদেশি ক্রিকেটারদের জন্য দুঃসংবাদ

১১

রাত জাগার অভ্যাসে অজান্তেই যে ক্ষতি করছে, বিশেষজ্ঞের সতর্কবার্তা

১২

ঢাকা-ময়মনসিংহ ট্রেন চলাচল বন্ধ

১৩

রাজশাহী স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির ৩৮ দফা দাবি

১৪

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা / আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে সরকার

১৫

যমজ সন্তান জন্ম দেওয়ার পর জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটরের মৃত্যু

১৬

নতুন ‘বাবরি মসজিদের’ ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে ৪০ হাজার মানুষকে খাওয়ানো হবে বিরিয়ানি

১৭

শিশু পুষ্টিতে শাকসবজির গুরুত্ব নিয়ে সায়েন্টিফিক সেমিনার অনুষ্ঠিত

১৮

৮ দিন পর গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ

১৯

ফ্যাসিস্ট পালালেও ফ্যাসিবাদের কালো ছায়া দেশ থেকে যায়নি : জামায়াত আমির

২০
X