ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট সদস্য হিসেবে পাঁচজন অধ্যাপককে আগামী তিন বছরের জন্য মনোনয়ন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের অনুমোদনে বুধবার (১৩ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। মনোনয়ন পাওয়া শিক্ষাবিদদের ভাষ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কাজ করে যাবেন তারা।
মনোনীত শিক্ষাবিদরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা।
অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান ঢাবির জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (ইউট্যাব) মহাসচিবের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক হিসেবে রয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ আমলে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুতির পর গত বছরের আগস্টে পুনরায় চাকরিতে যোগদান করেন অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান।
অধ্যাপক সদরুল আমিন এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে তার পদচারণা ছিল উল্লেখযোগ্য। অনুভূতি জানিয়ে তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কাজ করার চেষ্টা করব। সিনেটে তো অনেক সদস্য। এর মধ্যে আমি আমার জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে কাজ করার চেষ্টা করে যাব।’
অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান সাদা দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অনূভুতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিনেটের সদস্য করায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। পদ পদবি ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যেভাবে কাজ করে যাচ্ছি ভবিষ্যতেও সেভাবে কাজ করে যেতে চাই।’
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন অধ্যাপক কামরুল হাসান ও অধ্যাপক সামিন লুৎফা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা যৌক্তিক দাবিতে সামনের সারিতে ছিলেন তারা। অধ্যাপক কামরুল হাসান বলেন, ‘আমি কখনো এই পদের আকাঙ্ক্ষা রাখিনি। যখনই কোনো অন্যায় দেখেছি, চেষ্টা করেছি প্রতিবাদ করার। কী পদ দিল, না দিল এগুলোয় আমার কোনো চাওয়া পাওয়া নাই। তবে সরকার যেহেতু এই পদ সম্মানের জায়গা থেকে দিয়েছে, সেটা নিয়ে ভালোভাবে কাজ করার চেষ্টা করব।’
মন্তব্য করুন