তীব্র গরমে সাধারণ শিক্ষার্থী ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের মাঝে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো ঠান্ডা পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই শিক্ষার্থী মো. সাগর মোল্লা এবং নাহিদ হাসান। এ সময় তারা তাপপ্রবাহের ব্যাপারে মানুষকে সতর্ক করেন।
গত ২৯ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় পানি বিতরণ করে যাচ্ছেন তারা। বিশেষ করে, কার্জন হল, শাহবাগ, টিএসসি, ডাস চত্বর, পলাশী মোড়সহ বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে ঘুরে তৃষ্ণার্ত সাধারণ শিক্ষার্থী, রিকশাওয়ালা ও নানা শ্রেণিপেশার মানুষকে তারা পানি পান করান। এ সময় তাপপ্রবাহে করণীয় ও বর্জনীয় বিভিন্ন বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতেও দেখা যায় তাদের।
তাদের উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাগর মোল্লা বলেন, প্রবাহমান দাবদাহ স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত করে দিচ্ছে। হিটস্ট্রোকে প্রতিদিন মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। সাধারণ শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস অবস্থা সবার। তাদের একটুখানি স্বস্তি দিতেই আমাদের এ উদ্যোগ। আশা করি, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারব। তিনি আরও বলেন, যতদিন তীব্র তাপপ্রবাহ থাকবে ততদিন তাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে।
নাহিদ হাসান বলেন, একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমার দায় রয়েছে সমাজের জন্য কিছু করার। এর আগেও সিলেটে বন্যার সময় আমাদের পুরো সেশন একসঙ্গে কাজ করেছি। আমি মনে করি, একজন মানুষ হিসেবে আমাদের মানবিক গুণাবলি থাকা দরকার। প্রত্যেককেই যার যার অবস্থান থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। একটা খাবার পানি আর একটা স্যালাইন হয়তো খুব বড় কিছু নয়। তবে এই গরমে খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষের পানিশূন্যতা দূর করার জন্য যথেষ্ট। পানি বিতরণের পাশাপাশি আমরা তাপপ্রবাহে সচেতনতাও তৈরি করছি।
মন্তব্য করুন