পরিচালক রাশেদা আক্তার লাজুকের সঙ্গে অসদাচরণ ও শুটিংয়ে অসহযোগিতা করার অভিযোগে অভিনেত্রী জেবা জান্নাতকে নিষিদ্ধ করেছে টিভি নাটক নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড। ২০ জুন থেকে জেবাকে নিষিদ্ধ করা হয়।
কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমাণ্য করেই শুটিং করছেন জেবা জান্নাত। জানা যায়, ধানমণ্ডির ঝিগাতলায় একটি নাটকের শুটিং করছেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে নাটকটির শুটিং শুরু হয়।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নাটকে শুটিং করার খবর শুনে জেবার শুটিংস্পটে গিয়ে বাধা দেন ডিরেক্টরস গিল্ডের নেতৃবৃন্দ। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সাগর, প্রচার সম্পাদক জহির খান, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ আরও নেতৃবৃন্দরা সেখানে গিয়েছিলেন বলে কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন নাটকটির পরিচালক আজিজুল ইসলাম।
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কেন জেবাকে নিয়ে নাটকের শুটিং করলেন জানতে চাইলে পরিচালক আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি জেবার শিডিউল নিয়েছিলাম অনেক আগে। প্রযোজক শর্ত দিয়েছেন এই শিডিউল অনুযায়ী শুটিং না করলে নাটকটির শুটিং বাতিল করতে হবে। এতে করে আমি ও আমার টিম ক্ষতির সম্মুখীন হবো। সেজন্য অনুমতি চেয়ে ডিরেক্টর গিল্ডের কাছে আবেদনও করেছিলাম কিন্তু তারা আমার পাশে দাঁড়াননি। দুপুর ১২টা পর্যন্ত আমি তাদের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করেছি। কিন্তু কোনো সুরাহা করেননি তারা। তাই দুপুর ১২টার পর থেকে শুটিং শুরু করি।’
এদিকে বিকেল ৩টার দিকে ডিরেক্টর গিল্ডের নেতারা এসে বাধা দিলে শুটিং বন্ধ রাখেন পরিচালক। আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘ডিরেক্টর গিল্ডের নেতারা আমাকে অনুরোধ করলে আমি শুটিং না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক আমাকে জেবা জান্নাতের দালাল বলে গালি দেওয়ায় আমার আত্মসম্মানে আঘাত হানে। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি শুটিং শুরু করার। সন্ধ্যার পর থেকে আবারও শুটিং শুরু করেছি।’
জেবাকে ছাড়া অন্য নায়িকা নিয়েও তো শুটিং করা যেত- এমন প্রশ্নের জবাবে আজিজুল বলেন, ‘প্রযোজকের শর্তের কারণে তাকে ছাড়া অন্য কাউকে নিয়ে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।’
এদিকে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কেন জেবা জান্নাত শুটিং করছেন?- এমন প্রশ্নের জবাবে জেবা জান্নাত কালবেলাকে বলেন, ‘আমাকে অন্যায়ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, আমি কেন তা মেনে নেব। তাদের মনে হলো আর নিষিদ্ধ করে দিল – এটা কি করে সম্ভব?’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিরেক্টরস গিল্ড নিজেদের ইচ্ছামতো আমাকে নিষিদ্ধ করেছে তারা অভিনয় শিল্পী সংঘেরও মতামত নেয়নি। একতরফাভাবে নেওয়া সিদ্ধান্ত কেন মেনে নিব?
এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ জানতে ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি অনন্ত হীরা ও সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সাগরকে বারবার ফোন দিলেও তারা ফোন ধরেননি।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দিন কালবেলাকে জেবা জান্নাত জানিয়েছিলেন, তিনি উল্টো নির্মাতার অপেশাদারি আচরণের শিকার হয়েছেন। এমনকি তাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগও জানান জেবা জান্নাত। তিনি জানান, রাশেদা আক্তার লাজুকের স্বামী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন দোদুল জেবা জান্নাতকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব গ্রহণ না করার কারণেই জেবা জান্নাতের পেছনে লেগেছেন তারা।
মন্তব্য করুন