

বড়দিন এলেই বিনোদনপ্রেমীদের চোখ থাকে নতুন সিনেমার দিকে। বছরের এই উৎসবমুখর সময়ে হলিউড বরাবরের মতোই হাজির হচ্ছে ভিন্ন স্বাদের ছবি নিয়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। ২৫ ডিসেম্বর একসঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে দুই সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী সিনেমা—একদিকে গা শিউরে ওঠা ভয় আর থ্রিলারে ভরপুর ‘অ্যানাকোন্ডা’, অন্যদিকে পরিবারসহ উপভোগ্য হাসি–আনন্দের অ্যানিমেশন ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি : সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’। আন্তর্জাতিক মুক্তির পাশাপাশি ছবিগুলো দেখা যাবে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে।
‘অ্যানাকোন্ডা’ নামটি শুনলেই অনেকের মনে ফিরে আসে ১৯৯৭ সালের সেই বিখ্যাত হরর-অ্যাডভেঞ্চার সিনেমার কথা। বিশালাকৃতির ভয়ংকর সাপ, অ্যামাজনের দুর্গম জঙ্গল আর প্রাণপণ বেঁচে থাকার লড়াই—সব মিলিয়ে ছবিটি দর্শকদের মধ্যে আলাদা জায়গা করে নিয়েছিল। জেনিফার লোপেজ অভিনীত সেই সিনেমা বক্স অফিসেও সাফল্য পায় এবং পরবর্তীতে একাধিক সিক্যুয়েল তৈরি হয়।
দীর্ঘ সময় পর এবার নতুন রূপে ফিরছে অ্যানাকোন্ডা। তবে এটি সরাসরি রিমেক নয়, বরং একটি মেটা-রিবুট কমেডি-থ্রিলার। টম গোর্মিকানের পরিচালনায় নির্মিত এই ছবিতে অভিনয় করেছেন পল রুড, জ্যাক ব্ল্যাক, স্টিভ জ্যান, থান্ডিওয়ে নিউটনসহ আরও অনেকে।
এবারের গল্প ঘুরে বেড়ায় দুই মধ্যবয়সী চরিত্র ডগ ও গ্রিফকে ঘিরে। জীবনের একঘেয়েমি আর মিডলাইফ ক্রাইসিস কাটিয়ে উঠতে তারা সিদ্ধান্ত নেয় শৈশবের প্রিয় সিনেমা ‘অ্যানাকোন্ডা’ নতুন করে বানানোর। ছোট বাজেটের সেই স্বপ্ন পূরণ করতে তারা পাড়ি জমায় অ্যামাজন জঙ্গলে। কিন্তু সিনেমার শুটিং শুরু হতেই বাস্তব আর কল্পনার সীমারেখা মিলিয়ে যায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে সঙ্গে তাদের সামনে হাজির হয় এক বাস্তব, ভয়ংকর অ্যানাকোন্ডা। তখন মজার সিনেমা বানানোর পরিকল্পনা রূপ নেয় প্রাণ বাঁচানোর সংগ্রামে।
প্রিমিয়ারের পর দর্শকদের প্রতিক্রিয়া মিশ্র হলেও অনেকেই ছবিটিকে বড়দিনের ছুটিতে উপভোগ্য এক ধরনের ‘পপকর্ন এন্টারটেইনমেন্ট’ হিসেবে দেখছেন। বিশেষ করে পল রুড ও জ্যাক ব্ল্যাকের রসায়ন এবং আত্ম-সচেতন কৌতুক দর্শকদের নজর কেড়েছে।
ভয়ের ঠিক উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে আছে হলুদ স্পঞ্জ চরিত্র স্পঞ্জবব স্কয়ারপ্যান্টস। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বড়দের কাছেও জনপ্রিয় এই অ্যানিমেটেড চরিত্র আবারও ফিরেছে বড় পর্দায়। ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি : সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’ হলো সিরিজটির চতুর্থ থিয়েটার চলচ্চিত্র।
এই ছবিতে স্পঞ্জববকে দেখা যাবে তার প্রিয় পোষা শামুক গ্যারি-কে খুঁজতে এক দুঃসাহসিক অভিযানে। সেই অভিযানে তাকে পাড়ি দিতে হয় সমুদ্রের গভীরে, মুখোমুখি হতে হয় ভয়ংকর ভিলেন দ্য ফ্লাইং ডাচম্যান-এর। গল্পে আছে সাহসী হওয়ার চেষ্টা, বন্ধুত্বের টান আর স্পঞ্জববের চিরচেনা মজার কাণ্ডকারখানা।
১৯ ডিসেম্বর মুক্তির পর সিনেমাটি দর্শকদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছে। উত্তর আমেরিকায় কয়েক হাজার থিয়েটারে মুক্তি পেয়ে প্রথম দিনেই মিলিয়ন ডলারের ঘরে ঢুকেছে এর আয়। সমালোচকরাও ছবিটিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন। অনেকেই বলছেন, এটি সিরিজের আগের ছবিগুলোর মতোই প্রাণবন্ত ও বিনোদনপূর্ণ।
মন্তব্য করুন