চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম আলোচিত জুটি রবি মোহন ও আরতি রবি। যাদের ভালোবাসার গল্প একসময় উদাহরণ ছিল, আজ তাদের বিবাহবিচ্ছেদ এখন তুমুল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। কিন্তু এই আইনিভাবে জটিল সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে একজন তৃতীয় ব্যক্তি গায়িকা কেনিশা ফ্রান্সিস।
যখন রবি-আরতির বিচ্ছেদের কারণ ঘিরে চর্চা তুঙ্গে, তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনদের তীব্র আক্রমণের মুখে পড়েছেন কেনিশা। কারণ, আরতির ইঙ্গিতপূর্ণ এক বক্তব্যে,তিনি এক "অন্ধকার" সত্তার আগমনের কথা বলেন। তারপর থেকে নেটদুনিয়ায় কেনিশার দিকে আঙুল তুলেছে। অনেকেই তাকে আখ্যা দিচ্ছেন “ঘরভাঙানো” নারী হিসেবে। এই উত্তাপের মাঝে, কেনিশা ফ্রান্সিস নিজের যন্ত্রণা প্রকাশ করেছেন ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে। মৃত্যুহুমকি, দেহ নিয়ে কটাক্ষ, নারীবিদ্বেষ, এবং মিথ্যা রটনার ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান এই শিল্পী।
'আপনারা কি একবারও ভেবেছেন আমি কী সহ্য করছি?' এই হৃদয়বিদারক প্রশ্নের মাধ্যমে কেনিশা জানান, তিনি পালিয়ে যাবেন না বা মুখ বন্ধ করবেন না। বরং সত্য প্রকাশের অপেক্ষায় আছেন। একই সঙ্গে, যারা তাকে ঘৃণা করছেন, তাদের ঈশ্বরের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন।
এই সমগ্র ঘটনার কেন্দ্রে রয়েছে ২১ মে চেন্নাই ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার কোর্টে রবি ও আরতির হাজিরা। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, পরবর্তী শুনানি হবে চলতি বছরের ১২ জুন । আরতির পক্ষ থেকে প্রতি মাসে ৪০ লাখ রুপি ভরণপোষণের আবেদনও করা হয়েছে।
তিনটি মধ্যস্থতামূলক বৈঠকের ব্যর্থতা এবং আদালতে মামলার পুনরাগমন—সব মিলিয়ে এই বিচ্ছেদ কেবল ব্যক্তিগত নয়, এক বহুমাত্রিক সামাজিক নাটকেও রূপ নিচ্ছে। আর এই নাটকে, কেনিশা ফ্রান্সিস এখন যেন এক অনাকাঙ্ক্ষিত চরিত্র। যার পক্ষে-বিপক্ষে ঝড় বইছে ভার্চুয়াল জগতে।
মন্তব্য করুন