মরণব্যাধি ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছিলেন বাংলা রক ব্যান্ড মহীনের ঘোড়াগুলির অন্যতম সদস্য তাপস বাপী দাস। তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনায় দুই বাংলার গানপ্রেমীরা সৃষ্টিকর্তার কাছে হাত উঠিয়েছেন বার বার। তারপরও পৃথিবীর সব মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন তিনি।
রোববার কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বাপীদার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন কলকাতার এ সময়ের ব্যান্ড তারকা রূপম ইসলাম। রূপম তার ফেসবুকে বাপীদার কয়েকটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘এরকম কত বাঙ্ময় মুহূর্তই রয়ে গেল শুধু…সচল হয়েই থেকে গেল গানজীবনের অনন্ত পথ চলা…থেমে গেল বললে ভুল হবে, মারাত্মক ভুল…বাপীদা-সশরীরে তুমি আর নেই- কিন্তু সর্বত্র এভাবেই তুমি থাকবে। লাল সালাম। বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক।’
বাপীদার এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না ভক্তরা। দুই বাংলায় অনেকেই তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, প্রয়াত কিংবদন্তি বাংলা ব্যান্ড মহীনের ঘোড়াগুলির বাপীদা ওরফে তাপস দাস দীর্ঘ দিন ধরে ভুগছিলেন ফুসফুসের ক্যানসারে; চিকিৎসাও চলছিল তার। রোববার শেষ হলো লড়াই। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন মহীনের অন্যতম ঘোড়া।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তার অসুস্থতার খবর প্রকাশে এলে চিকিৎসার খরচ জোগাতে একাধিক কনসার্টের আয়োজন হয় কলকাতা শহরেই। পরে অবশ্য তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেয় রাজ্য সরকার। টুইট করে শোকপ্রকাশ করেছেন কলকাতার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফিরব না পিছনে, আর অন্ধকার, শব্দবিহীন শব্দের এই আঁধারে, এই সুরে বহুদূরসহ বেশ কিছু গানের স্রষ্টা ছিলেন বাপীদা। ফুসফুস ক্যানসারের তৃতীয় ধাপে ছিলেন। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিল না তার পরিবার। মহীনের ঘোড়াগুলির অন্যতম এ প্রতিষ্ঠাতার চিকিৎসায় তহবিল গঠনের জন্য নানা উদ্যোগও নিয়েছিলেন দুই বাংলার শিল্পীরা।
এক সময়ের নকশাল আন্দোলনের কর্মী গৌতম চট্টোপাধ্যায় গত শতকের ৭০ এর দশকে কলকাতায় যে রক ব্যান্ড গড়ে তুলেছিলেন, সেই মহীনের ঘোড়াগুলি বাংলা গানের নতুন দিশা দিয়েছিল। তাদের গানের প্রভাব বাংলা সংগীত জগতে এখনও রয়েছে। বাংলাদেশেও জনপ্রিয় মহীনের ঘোড়াগুলির গান।
মন্তব্য করুন