টালিউডে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে অভিনেত্রী পূজা ব্যানার্জি। কিছুদিন আগেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কাছ থেকে টাকা-পয়সা খোয়া যাওয়ার হৃদয়বিদারক অভিযোগ করে তিনি উঠে এসেছিলেন শিরোনামে। সেই সময় তার আবেগঘন বক্তব্যে সহানুভূতির ঝড় উঠেছিল অনুরাগীদের হৃদয়ে। তবে এবার ঘটনার মোড় ঘুরল নাটকীয়ভাবে। ঘটনার তিন দিন না যেতেই পূজার বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন সেই প্রযোজক বন্ধুর স্ত্রী মালবিকা দে।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে মালবিকা দে জানান, আজ একটি মর্মান্তিক ঘটনার কথা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। এমন ঘটনার সম্মুখীন যেন কোনো পরিবারকেই না হতে হয়। তিনি আরও জানান, একটি ব্যবসায়িক সফরে গোয়ায় থাকাকালীন শ্যামসুন্দরকে তার গাড়ি থেকে জোর করে নামিয়ে অপহরণ করা হয়। এই ঘটনায় নেতৃত্ব দেন পূজা ব্যানার্জি নিজে। শ্যাম বাবুকে একটি অজানা জায়গায় নিয়ে গিয়ে ভয় দেখানো হয়, মারধর করা হয় এবং বলা হয় যদি তিনি ৬৪ লাখ টাকা না দেন, তবে মাদক মামলায় তাকে ফাঁসানো হবে। এই চরম পরিস্থিতিতে শ্যাম বাবুকে ২৩ লাখ টাকা দিতে বাধ্য করা হয়।
মালবিকার দাবি, এই টাকা পূজার সহকারী মুনমুনের হাতে নগদ এবং পূজা ও কুণালের অ্যাকাউন্টে আরটিজিএস মারফত পাঠানো হয়। সব লেনদেনের যথাযথ ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও প্রমাণ সংরক্ষণও করা হয়েছে।
মালবিকা অভিযোগ করে আরও লিখেছেন, আমার স্বামীকে গোয়ায় মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয় এবং প্রায় ৬৪ লাখ টাকা চাওয়া হয়। বলা হয়, টাকা না দিলে ওকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে। প্রচণ্ড ভয় পেয়ে শ্যাম ২৩ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। পূজা এবং কুনালের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যে টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে, তার সব রসিদ এবং লেনদেনের রেকর্ড সংরক্ষণ করেছি আমি। পূজা এবং কোনাল শ্যামের মোবাইল কেড়ে নেয়, জোর করে ব্যক্তিগত তথ্য এবং পাসওয়ার্ড নিয়ে নেয়। আমার স্বামীকে দিয়ে একাধিক ভিডিও রেকর্ড করা এবং তাকে ওদের কথা অনুযায়ী বক্তব্য বলতে বাধ্য করানো হয়। আপাতত উত্তর গোয়া এসপির নেতৃত্বে গোয়া পুলিশের সহযোগিতায় আমার স্বামী নিরাপদে উদ্ধার হয়েছেন।
তবে এ অভিযোগের বিষয়ে এখনো তিনি কোনো কথা বলেননি। তিনি শুধু বলেছেন, শিগগিরই আসল সত্য বেরিয়ে আসবে।
এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গোয়া পুলিশের নিরবচ্ছিন্ন তৎপরতায় শ্যাম বাবুকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। নর্থ গোয়ার এসপির তত্ত্বাবধানে পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিএনএসের একাধিক ধারায় ‘এফআইআর’ দায়ের করেছে। যার মধ্যে রয়েছে ধারা ১২৬(২), ১৩৭(২), ১৪০(২), ৩০৮(২), ১১৫(২), ৩৫১(৩), ৬১(২), ও ৩(৫)। শ্যামবাবুর পরিবার ‘এফআইআর’ কপি, ব্যাংক ট্রান্সফার রসিদ, অভিযোগপত্রের স্বীকৃতি, ভয়ভীতির হোয়াটসঅ্যাপ স্ক্রিনশট, ভয়েস মেসেজ এবং পুলিশের ধন্যবাদবার্তা সব কিছু গণমাধ্যমের সঙ্গে শেয়ার করেছে।
মন্তব্য করুন