ডেঙ্গু প্রতিরোধে জাদুকরী কোনো সমাধান নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (২ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে নবনির্মিত রিকশাস্ট্যান্ড পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা উত্তরে মশক নিধন কার্যক্রম এক মাস বাড়ানোর ঘোষণা
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে জাদুকরী কোনো সমাধান নেই। সুনির্দিষ্ট একটি কাজ করলে এডিস মশা পুরোটা বিলুপ্ত হবে, এ ধরনের কোনো সমাধান নেই। আজ পর্যন্ত এ ধরনের কোনো সমাধান সারা বিশ্বে কেউ দিতে পারেনি। সুতরাং এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসের মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধের যে স্বীকৃত পদ্ধতি আমাদের সেটিই অনুসরণ করতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, উৎস নিধনে সফল হতে হলে আরও কার্যকর ও ফলপ্রসূ করতে হলে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। নাগরিকরা যদি দায়িত্বশীল না হন এবং যদি উৎসগুলো চিহ্নিত করে না দেন, তাহলে সিটি করপোরেশন সেই জায়গায় গিয়ে এডিস মশার উৎসস্থল ধ্বংস করতে পারবে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আমাদের যে তথ্য প্রেরণ করা হয় এবং আমাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যারা তথ্য দেন, সে তথ্যের ভিত্তিতে আমরা নিয়মিত এডিস মশার উৎসস্থল ধ্বংস করছি।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখনো পর্যন্ত ৫৪ হাজার ৪১৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩০ হাজার ৩৩১ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ২৪ হাজার ৮৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৪ হাজার ৮৯১ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ২৫ হাজার ২৫৭ এবং ঢাকার বাইরে ১৯ হাজার ৬৩৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সদ্য শেষ হওয়া মাস জুলাইয়ে ২০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়।
একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
মন্তব্য করুন