কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:২৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিনে কতবার সুগার টেস্ট করবেন

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

ডায়াবেটিস ধরা পড়লে খাবার, ব্যায়াম, জীবনযাপন সবই পাল্টে যায়। কিন্তু অনেকেই নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা মাপেন না। ফল হল, শরীরে সুগার ওঠানামা করছে কি না তা বোঝা যায় না। সঠিক সময় ও নিয়মে সুগার টেস্ট করলেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেক সহজ হয়ে যায়।

রক্তে শর্করা কতবার মাপা প্রয়োজন? অনেকেই মনে করেন ৩ বা ৪ মাস অন্তর শুধু ফাস্টিং ও র‌্যান্ডম টেস্ট করলেই যথেষ্ট। কিন্তু এতে প্রতিদিনের শর্করার ওঠানামা বোঝা যায় না। বিশেষ করে যাদের সুগার বেশি, ইনসুলিন নেন অথবা নিয়মিত ওষুধ খান, তাদের দিনে কয়েকবার রক্ত পরীক্ষা করা জরুরি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রয়োজন হলে দিনে ৬ বার সুগার টেস্ট করলে শরীরের প্রতিক্রিয়া স্পষ্টভাবে বুঝে ফেলা যায়।

দিনে কোন সময়ে সুগার টেস্ট করবেন?

সকালে ঘুম থেকে উঠে (খালি পেটে) : ডিনার থেকে সকালের টেস্টের মাঝে ৮-১০ ঘণ্টা বিরতি থাকা দরকার।

ব্রেকফাস্ট খাওয়ার ২ ঘণ্টা পরে : এতে বোঝা যায় খাবারের পর শরীর কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে।

লাঞ্চের ৩০ মিনিট আগে : এটা প্রি-মিল সুগার স্তর বোঝায়।

লাঞ্চের ২ ঘণ্টা পরে : পোস্ট-মিল রিডিং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খুব গুরুত্বপূর্ণ।

ডিনারের ৩০ মিনিট আগে : লাঞ্চের মতোই ডিনারের আগের মানটাও জরুরি।

ডিনারের ২ ঘণ্টা পরে : দিনশেষের রক্তে শর্করার অবস্থা এই টেস্টে স্পষ্ট হয়।

কেন এই নোট রাখা জরুরি?

প্রতিটি সময়ের সুগার লেভেল একটি ডায়েরিতে লিখে রাখার অভ্যাস করুন। ডাক্তার দেখাতে গেলে এই নোটগুলো দিলে চিকিৎসক আপনার ডায়াবেটিসের পুরো চিত্রটি ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। কোন খাবারে সুগার বাড়ছে বা কমছে, কোন সময়ে সমস্যা হচ্ছে—এসব সহজে ধরা পড়ে।

কারা দিনে ৬ বার টেস্ট করবেন?

- যাদের রক্তে শর্করা অনেক বেশি ওঠানামা করে

- যারা ইনসুলিন নেন

- নতুন করে ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে, চিকিৎসা ঠিক করতে তদারকি প্রয়োজন

- গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস (জিশটেশনাল ডায়াবেটিস) হলে

কখন ঘনঘন টেস্ট প্রয়োজন নেই?

যদি সুগার নিয়মিত কন্ট্রোলে থাকে এবং ডাক্তারও বলেন, তাহলে প্রতি মাসে একবার ফাস্টিং ও র‌্যান্ডম টেস্ট করলেই হয়।

অতিরিক্ত তথ্য (বাংলাদেশি পাঠকদের জন্য প্রাসঙ্গিক)

বাংলাদেশে এখন ঘরে ব্যবহারের গ্লুকোমিটার পাওয়া যায়, দামও তুলনামূলক কম। এগুলো ব্যবহার করতে সহজ এবং দ্রুত ফল দেয়। অনেকেই খাবারের সময় ঠিকমতো না মেনে ওষুধ খান, এতে রিডিং ভুল আসতে পারে। সঠিক সময় মেনে ওষুধ খাওয়াও জরুরি। যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, ব্যায়ামের ঠিক আগে বা পরে সুগার কমে যেতে পারে—এ বিষয়েও সচেতন থাকতে হবে।

সূত্র : এই সময় অনলাইন

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইরানে স্বর্ণের বিশাল মজুতের সন্ধান

একাই ৪শ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নিলেন প্রধান শিক্ষক

যে কথাগুলো পুরুষ তার প্রিয় নারীর কাছ থেকে শুনতে চায়

বিশ্বরেকর্ড গড়া তামিমের ব্যাটে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

মাধ্যমিক শিক্ষকদের উদ্দেশে শিক্ষা উপদেষ্টার হুঁশিয়ারি

আবারও বঙ্গোপসাগরে ভূমিকম্প

শিগগিরই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান : মির্জা ফখরুল

কুকুরছানা পুকুরে ফেলে হত্যা, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় হেফাজত আমিরের বিশেষ দোয়া

রাজশাহীতে আশঙ্কাজনকহারে পরিযায়ী পাখি, নিঃশব্দ প্রস্থান কী সতর্কবার্তা?

১০

ক্রেতা সেজে দোকানে ঢুকে স্বর্ণ চুরি

১১

বরগুনা জেলা বিএনপির সব কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

১২

সড়কে ঝরল কোরআনে হাফেজের প্রাণ

১৩

অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন তরুণ-তরুণী

১৪

যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে মোবাইল ব্যবসায়ীদের অবরোধে তীব্র যানজট

১৫

প্রক্সি দিয়ে চাকরি, যোগদানের সময় আটক রবিউল

১৬

বগুড়ায় এনসিপির ১১০ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

১৭

দলের নির্ধারিত ব্যক্তি ছাড়া কারও কথায় কান দেবেন না : ডা. জাহেদ

১৮

আবাসিক এলাকায় শুঁটকি উৎপাদন, স্থানীয়দের ভোগান্তি

১৯

চবিতে ফের ভুয়া শিক্ষার্থী শনাক্ত

২০
X