জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা প্রদান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিনামূল্যে প্রদান করা হবে এই টিকা।
সোমবার (৭ আগস্ট) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। বাংলাদেশকে এই টিকা দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২৭ হাজার নারী এতে আক্রান্ত হন এবং সাড়ে ৬ হাজার মারা যায়। সার্ভিকাল ক্যানসার প্রতিরোধে এইচপিভি ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ টিকা দিতে পারলে মৃত্যুর সংখ্যা, সংক্রমণ ও রোগীর সংখ্যা কমবে।
তিনি বলেন, স্কুল থেকে এ টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করা হবে। কারণ ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েদের এ টিকা দেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে এই বয়সী সব মেয়েদের এ টিকা দেবো। সাড়ে ২৩ লাখ টিকা হাতে পেয়েছি। পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম, বরিশাল দ্বিতীয় দফায় রাজশাহী, খুলনা, রংপুর ও ময়মনসিংহে টিকা দেওয়া হবে।
নভেম্বরে আরও ২০ লাখ এবং ডিসেম্বরে ১২ লাখ টিকা পাওয়া যাবে। আগামী বছরে ৪২ লাখ টিকা এবং ২০২৫ সালে ২৩ লাখ টিকা পাওয়া যাবে বলে জানান মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশে ভালো করে করোনার টিকা দিতে পারায় গ্যাভি (টিকা ব্যবস্থাপনার বৈশ্বিক জোট) এবং ডব্লিউএইচও খুবই খুশি। তারা আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আগামী ৫ বছরে ১০ কোটি করোনার টিকা দেবে। ৫ কোটি মানুষকে সেই টিকা দিতে পারব। বিনামূল্যে আমরা এ টিকা পাবো বলে আশা রাখি। যার মূল্য প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। এ টিকা দিতে খরচ হবে ৬০০ কোটি টাকা।
মন্তব্য করুন