মাতৃমৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ এক্লাম্পসিয়া। তাই এ বিষয়ে সচেতনতা প্রয়োজন। এ রোগ প্রতিরোধে সব হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখতে হবে।
শনিবার (২৪ মে) শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশ্ব প্রি-এক্লাম্পসিয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।
হাসপাতালের অবস ও গাইনি বিভাগের ফিটোমেটারনাল মেডিসিন ইউনিটের উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষ্যে সেমিনার, সভা ও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল প্রি-এক্লাম্পসিয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন, জানুন।
বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. ফারজানা সোহাইলের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাকি মোহাম্মদ জাকিউল আলম। এসময় তিনি বলেন, সঠিক গর্ভপূর্ব ও গর্ভকালীন চেকআপের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভবতী মা চিহ্নিত করে এক্লাম্পসিয়া প্রতিকার ও প্রতিরোধ করা যায়।
অবস্টেট্রিক্যাল এন্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) সভাপতি ফারহানা দেওয়ান প্রি-এক্লাম্পসিয়া নিয়ে সচেতনতামূলক প্রোগ্রামের মাধ্যমে মাতৃমৃত্যু কমানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, গর্ভকালে অন্তত ৪ বার চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে মায়েদের। যাতে ঝুঁকি নির্ণয় করা যায়।
সভায় জেস্টোসিস সোসাইটির (যারা গর্ভকালে হাইপারটেনশন নিয়ে কাজ করেন) সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম খিঁচুনি প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকরী ওষুধ ম্যাগসালফ সব হাসপাতালে অবশ্যই থাকতে হবে বলে দাবি করেন।
ওজিএসবির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. সালমা রউফ বলেন, মাতৃমৃত্যু কমাতে হলে গবেষণা কার্যক্রম বাড়াতে হবে।
উল্লেখ্য, প্রি-এক্লাম্পসিয়া গর্ভবস্থায় উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যার মারাত্মক প্রতিক্রিয়া, যা চিকিৎসার অবহেলায় মা ও শিশুর জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হয়। এটি মাতৃমৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ।
মন্তব্য করুন