অপরাধীদের যথাযথ বিচার না হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে মঠ-মন্দির ভাঙচুর, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন, ধর্ষণ, হত্যার মতো ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের নেতারা। নতুন বাংলাদেশে এসব ঘটনার অবসান চান তারা।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে জোটের নেতারা এ অভিযোগ করেন।
সারা দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন, ধর্ষণ, মন্দির-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান-ঘরবাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, মব ভায়োলেন্স ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক কুশল বরণ চক্রবর্তীকে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদ; সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সব কারাবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি এবং দ্রুত আট দফা বাস্তবায়নের দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সনাতনী জোটের প্রতিনিধি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুমন কুমার রায়ের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন জোটের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র গোপীনাথ ব্রহ্মচারী মহারাজ, জোটের অন্যতম প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ কুমার হালদার, প্রদীপ কান্তি দে, পিযুষ দাস, রাজেশ নাহা, সুদীপ্ত প্রামাণিক, বাংলাদেশ সংখ্যালঘু অধিকার পার্টির সাধারণ সম্পাদক তন্ময় মৌলিক, সনাতনী অধিকার আন্দোলনের অন্যতম প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট সুশান্ত অধিকারী, দেব দত্ত ও ডেভিট পাল, বাংলাদেশ সংখ্যালঘু অধিকার পার্টির সহসভাপতি সাজেন কৃষ্ণ বল ও রাজ ঘোষ রান্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৌরভ গাঙ্গুলী সকাল, সনাতনী ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি পুতুল ঘোষ প্রমুখ।
নেতারা বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী আশা করেছিল, দেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর বৈষম্য এবং নিপীড়ন-বঞ্চনার অবসান হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোতে সংখ্যালঘুদের উপেক্ষা করা হয়েছে। মনে রাখতে হবে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে উপেক্ষা করে রাষ্ট্রের কোনো সংস্কার হলে দেশে-বিদেশে তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের সনাতনী সম্প্রদায় সব সরকারের আমলেই অবহেলিত ও নির্যাতিত এবং ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত। দীর্ঘদিনের এই শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির জন্য সনাতনী সম্প্রদায়ের প্রাণের দাবি ৮ দফা দ্রুত বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।
বক্তারা অবিলম্বে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সবার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান। এ ছাড়া অনতিবিলম্বে ড. কুশল বরণ চক্রবর্তীকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় জড়িতদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মন্তব্য করুন