ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টিলিজেন্স (এনএসআই) সহ আগামী শুক্রবার (২৩ মে) মোট ২৩টি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। একই দিনে এতগুলো পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এমনকি কয়েকটি পরীক্ষা একই সময়ে হওয়ায় একজন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না।
এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চাকরিপ্রার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘পিএসসি সংস্কার আন্দোলন’। প্ল্যাটফর্মটি এই সিদ্ধান্তকে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে ‘তামাশা’ করার সমতুল্য বলে অভিহিত করেছে।
সোমবার (১৯ মে) প্ল্যাটফর্মের দপ্তর সংগঠক আওরঙ্গজেব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগের কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ২৩ মে দেশের বিভিন্ন নিয়োগকারী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান একযোগে ২৩টি চাকরির পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে লক্ষাধিক চাকরিপ্রার্থী মারাত্মক সংকটে পড়েছেন। কোন পরীক্ষায় অংশ নেবেন আর কোনটি বাদ দেবেন, এই নিয়ে তারা চরম মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন। প্রতিটি পরীক্ষাই তাদের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও, একই দিনে এতগুলো পরীক্ষার আয়োজন তাদের প্রতি চরম অবিচার ও উদাসীনতার বহিঃপ্রকাশ।
প্ল্যাটফর্মটি আরও অভিযোগ করেছে, বিগত সরকারের আমলেও এমন পরিস্থিতি দেখা যেত, যেখানে প্রকৃত মেধাকে মূল্যায়ন না করে নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের সুবিধা দেওয়া হতো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীদের প্রতি ন্যায্য আচরণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান ব্যবস্থায় একের পর এক অব্যবস্থাপনা ও তামাশার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। ‘পিএসসি সংস্কার আন্দোলন’ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে পরীক্ষার তারিখ পুনর্বিন্যাস করার জোর দাবি জানিয়েছে, যাতে সকল চাকরিপ্রার্থী প্রতিটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে প্ল্যাটফর্মটি।
মন্তব্য করুন