৪৩তম বিসিএসের নন-ক্যাডার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবিতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সামনে মানববন্ধন করতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। পরে কাফনের কাপড় পরে পরিসংখ্যান ভবনের সামনের রাস্তায় বসে পড়েছেন ফলপ্রত্যাশী আন্দোলনকারীরা।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় পূর্বঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচি পালনে পিএসসির সামনে যেতে চায় ফলপ্রত্যাশীরা। তবে পরিসংখ্যান ভবনের সামনে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। এরপর সেখানেই রাস্তার ওপর বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। এ সময় অনেকের গায়ে কাফনের কাপড় দেখা গেছে।
গতকাল শনিবার মানববন্ধনে ফলপ্রত্যাশীরা অভিযোগ করেন, ক্যাডার ও নন-ক্যাডার ফলাফল একসঙ্গে দেওয়ার কোনো বিধি নেই। এরপরও সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৩তম বিসিএসে তড়িঘড়ি করে একসঙ্গে ফলাফল প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছে। এতে সময়স্বল্পতায় নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা অন্য বিসিএসের তুলনায় অনেক কমে গেছে।
ফলপ্রত্যাশীরা বলেন, ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তির সময় এ ধরনের কোনো ঘোষণা না থাকায় আমরা একটা স্বপ্ন নিয়ে এগিয়েছি। সেখানে দীর্ঘ তিন বছর পর নন-ক্যাডারে এত কম পদ দেখে আমাদের ওপর ‘বিনা মেঘে বজ্রপাত’-এর মতোই অবস্থা হয়েছে।
ফলপ্রত্যাশীরা আরও বলেন, যে বিসিএস থেকে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ফলাফল একসঙ্গে প্রকাশের ঘোষণা হয়েছে, সে বিসিএস থেকেই তা কার্যকর করা হোক। এ দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আন্দোলন করা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই।
২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। গত ২০ আগস্ট লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৮৪১ জন। এরপর গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে ৪৩তম বিসিএসে ননক্যাডারে ১ হাজার ৩৪২ শূন্যপদে নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। পদগুলোর মধ্যে নবম গ্রেডের ১৯৬, দশম গ্রেডের ৮৬১, ১১তম গ্রেডের ৬ এবং ১২তম গ্রেডের ২৭৯টি। এই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদের ফল আলাদা প্রকাশের দাবিতে গত সপ্তাহেও পিএসসির সামনে মানববন্ধন করেছিল ৪৩তম বিসিএসের ফলপ্রত্যাশীরা। গতকাল দ্বিতীয় দফায় মানববন্ধন করল তারা
মন্তব্য করুন