আজকের তারুণ্য মানেই আগামী দিনের ভরসা। তারা শুধু ভবিষ্যতের জন্য নয়, এখনই সমাজে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিচ্ছে। প্রযুক্তি, শিক্ষায় উদ্ভাবন, সামাজিক সচেতনতা কিংবা পরিবেশ রক্ষা—সব ক্ষেত্রেই তরুণদের অবদান এখন চোখে পড়ার মতো।
তবে তাদের পথটা সব সময় মসৃণ নয়। অনেক তরুণ বেকার, কেউ পাচ্ছে না মানসম্মত শিক্ষা, আবার কেউ মানসিক চাপ বা সামাজিক বৈষম্যের মুখোমুখি। তবুও তারা থেমে নেই। নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে, পরিবার ও সমাজকে কিছু দিতে তারা প্রতিদিন সংগ্রাম করে যাচ্ছে।
এই তরুণদের সম্মান জানাতেই প্রতি বছর পালিত হয় আন্তর্জাতিক যুব দিবস। দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—তরুণদের কথা শোনার, তাদের পাশে থাকার এবং তাদের এগিয়ে যেতে সহায়তা করার সময় এখনই।
তাদের উৎসাহ, সাহস আর নতুন ভাবনাই পারে একটি সুন্দর ও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে। তাই এই দিন শুধু উদযাপনের নয় বরং কাজেরও—যেখানে আমরা সবাই মিলে তরুণদের সম্ভাবনাকে মর্যাদা দিই এবং একসাথে ভবিষ্যতের পথে হাঁটি।
প্রতি বছর ১২ আগস্ট বিশ্বজুড়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক যুব দিবস—একটি দিন যা তরুণ-তরুণীদের ক্ষমতা, সৃষ্টিশীলতা ও সমাজে তাদের অবদানের স্বীকৃতির জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে। এ দিনটি প্রথম চালু করে জাতিসংঘ ২০০০ সালে। তখন থেকেই এ দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে বিশ্বব্যাপী, যুব সমাজের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরতে এবং তাদের সম্ভাবনাগুলোকে সামনে আনতে।
এই দিবসের গুরুত্ব
তরুণরা শুধু আগামী দিনের নেতা নয়—তারা আজকের সমাজেরও পরিবর্তনকারী। জলবায়ু আন্দোলন, প্রযুক্তির উদ্ভাবন, সামাজিক সচেতনতা কিংবা উদ্যোক্তা হওয়া—সবক্ষেত্রেই তারা প্রমাণ করে দিচ্ছে, বয়স নয়, মন আর মানসিকতাই সবচেয়ে বড় শক্তি।
তবে বাস্তবতা হলো, অনেক তরুণ এখনো বেকারত্ব, শিক্ষার অভাব, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বা বৈষম্যের মতো সমস্যার মুখোমুখি। তাই আন্তর্জাতিক যুব দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়—তাদের কথা শোনা, বোঝা ও পাশে দাঁড়ানো এখনই দরকার।
২০২৫ সালের থিম: শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের জন্য তরুণদের ক্ষমতায়ন
এই বছরের মূল বার্তা হলো—যুব সমাজকে ক্ষমতায়ন করে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও টেকসই ভবিষ্যতের ভিত্তি গড়ে তুলতে পারি। তাদের চিন্তা, নেতৃত্ব ও কর্মক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব।
আমরা কীভাবে উদযাপন করতে পারি?
তরুণদের কথা শুনুন – তাদের মতামত ও অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিন।
তরুণদের উদ্যোগকে সমর্থন করুন – ছোট হোক বা বড়, তরুণদের চালানো কাজগুলোকে উৎসাহ দিন।
নির্দেশনা ও পরামর্শ দিন – বড়রা তাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে তরুণদের পাশে থাকতে পারেন।
সচেতনতা তৈরি করুন – যুব সমাজের অধিকার ও চাহিদা নিয়ে কথা বলুন।
তরুণদের প্রতি বার্তা
প্রিয় তরুণ ও তরুণী,
আপনারা গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের চিন্তা, স্বপ্ন আর সাহসই এই পৃথিবীকে বদলে দিতে পারে। কৌতূহলী থেকো, দয়ালু থেকো, আর ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য লড়াই করে যান—কারণ ভবিষ্যৎ আপনাদের হাতেই।
চলুন, আন্তর্জাতিক যুব দিবসে শুধু উদযাপনেই নয়—তাদের পাশে থেকে বাস্তব পদক্ষেপ নেই।
মন্তব্য করুন