

অনেকে নিরাপদ বিনিয়োগের জন্য সঞ্চয়পত্রের ওপর ভরসা করেন। এর মধ্যে পরিবার সঞ্চয়পত্র সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। কারণ এতে মুনাফা বেশি, ঝুঁকি কম এবং প্রতি মাসে আয় পাওয়ার সুযোগ আছে। তাহলে এটি কারা কিনতে পারবেন এবং কী কী সুবিধা মেলে? চলুন সহজ করে জেনে নিই প্রয়োজনীয় তথ্য।
পরিবার সঞ্চয়পত্র হলো বাংলাদেশ সরকারের একটি নিরাপদ বিনিয়োগ মাধ্যম। তুলনামূলক বেশি মুনাফা ও মাসিক আয় পাওয়ার সুবিধার কারণে এটি অনেকের কাছে প্রথম পছন্দ। পাঁচ বছর মেয়াদি এই সঞ্চয়পত্রে সর্বোচ্চ ১১.৯৩% পর্যন্ত মুনাফা পাওয়া যায়, যা বর্তমানে চালু থাকা সঞ্চয়পত্রগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হার।
পরিবার সঞ্চয়পত্র পাওয়া যায়:
- জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর
- বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শাখা
- ডাকঘর
- বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক
এগুলো থেকেই সঞ্চয়পত্র কেনা ও মেয়াদ শেষে বা প্রয়োজন হলে নগদায়ন করা যায়।
পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনা যায় নিম্নলিখিত পরিমাণে: ১০,০০০ / ২০,০০০ / ৫০,০০০ / ১ লাখ / ২ লাখ / ৫ লাখ / ১০ লাখ টাকা
মেয়াদ: ৫ বছর
মোট বিনিয়োগের ওপর ভিত্তি করে দুই ধাপ রয়েছে—
১) প্রথম ধাপ - ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য
১ম বছর: ৯.৮১%
২য় বছর: ১০.২৯%
৩য় বছর: ১০.৮০%
৪র্থ বছর: ১১.৩৫%
৫ম বছর: ১১.৯৩%
২) দ্বিতীয় ধাপ - ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য
১ম বছর: ৯.৭২%
২য় বছর: ১০.১৯%
৩য় বছর: ১০.৭০%
৪র্থ বছর: ১১.২৩%
৫ম বছর: ১১.৮০%
- ৫ লাখ টাকার মধ্যে মোট বিনিয়োগ হলে মুনাফার ওপর ৫% কর
- ৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ হলে ১০% কর
এই তিন শ্রেণির নাগরিক এটি কিনতে পারেন:
- ১৮ বছরের ওপরে যে কোনো বাংলাদেশি নারী
- যে কোনো বাংলাদেশি শারীরিক প্রতিবন্ধী (পুরুষ ও নারী)
- ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের যে কোনো বাংলাদেশি (পুরুষ ও নারী)
সর্বোচ্চ কত টাকা বিনিয়োগ করা যায়?
- একক নামে সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকা পর্যন্ত
- পরিবার সঞ্চয়পত্র শুধু একক নামেই পাওয়া যায়, যৌথ নামে কেনা যায় না
- পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র
- তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র
- পরিবার সঞ্চয়পত্র
এই তিনটিতে একক নামে মোট সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা, আর যৌথ নামে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়।
- প্রতি মাসে মুনাফা তোলা যায়
- নমিনি যোগ, পরিবর্তন বা বাতিল করা যায়
- সঞ্চয়পত্রের মালিক মারা গেলে নমিনি চাইলে সঙ্গে সঙ্গে টাকা তুলতে পারেন অথবা মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত মাসিক মুনাফা নিতে পারেন
মন্তব্য করুন