

অনেকে মনে করেন ওজন কমাতে হলে ভাত-রুটি বাদ দিতেই হবে। কিন্তু আসলে কি তাই? জনপ্রিয় ফিটনেস কোচ ও স্পোর্টস নিউট্রিশন বিশেষজ্ঞ জিত সেলাল জানাচ্ছেন, কার্বোহাইড্রেটকে ভয় পাওয়ার দরকার নেই—ওজন কমে সঠিক অভ্যাসে, খাবার বাদ দিলে নয়।
অনেকদিন ধরেই ভাত, রুটি বা কার্বোহাইড্রেট ভরা খাবারগুলোকে ওজন বাড়ার প্রধান কারণ মনে করা হয়। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং, ডিটক্স ড্রিঙ্ক—এ ধরনের নানা ট্রেন্ড এলেও বিভ্রান্তি একই থাকে: কার্ব খাব কি খাব না? এ নিয়ে কথা বলেছেন ভারতের ফিটনেস কোচ ও স্পোর্টস নিউট্রিশন বিশেষজ্ঞ জিত সেলাল। তাঁর সরাসরি বক্তব্য-কার্ব কমালে ওজন কমে—এই ধারণা ভুল।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জিত সেলাল বলেন, ভাত বা রুটি খাওয়া যাবে না—এটা বহু পুরোনো কিন্তু ভুল ধারণা। শরীরের প্রধান শক্তির উৎস হলো কার্বোহাইড্রেট। এটা বাদ দিলে শরীর শক্তি পাবে কীভাবে? তাই শুধু কার্ব বাদ দিলে ওজন কমবে—এমন কোনো নিয়ম নেই। ওজন কমানোর বিষয়টি আসলে অন্য জায়গায় নির্ভর করে।
ক্যালরি ঘাটতি তৈরি করুন : আপনি যত ক্যালরি খাবেন, শরীরকে তার চেয়ে বেশি ক্যালরি খরচ করতে হবে। এটাই ফ্যাট কমার মূল নিয়ম।
যথেষ্ট প্রোটিন খান : ওজন কমানোর সময় মাংসপেশি ধরে রাখতে প্রোটিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন কম খেলে শরীর ফ্যাট নয়; বরং পেশি ভাঙতে শুরু করে।
নিয়মিত নড়াচড়া ও ব্যায়াম করুন : প্রতিদিন হাঁটা, ব্যায়াম বা যে কোনো ধরনের শারীরিক কাজ মেটাবলিজম বাড়ায় এবং ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে।
জিত সেলাল বলেন, এই তিনটি অভ্যাস মেনে চললে আপনি ভাত বা রুটি, যাই খান না কেন, ফ্যাট কমার প্রক্রিয়া থামবে না।
বিশেষজ্ঞের মতে, ওজন কমাতে কঠোর খাদ্য নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন নেই। ভাত-রুটি বাদ দিয়ে শরীর দুর্বল করার চেয়ে অনেক বেশি জরুরি হলো—সুষম খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম এবং ধারাবাহিক থাকা। সোশ্যাল মিডিয়ার ভুল-ভাল পরামর্শে না গিয়ে প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ বা চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
মন্তব্য করুন