কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৫৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চেষ্টা করেছি ডিবিকে সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গায় নিতে : হারুন

মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় গেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ছবি : কালবেলা
মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় গেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ছবি : কালবেলা

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগকে (ডিবি) সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গায় নিতে সবসময় চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছেন ইউনিটটির সদস্য বিদায়ী প্রধান কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ তথা বিশ্বের মানুষ জানে কারো কোনো সমস্যা হলে ডিবিতে গেলে প্রবলেম সলভ হতে পারে। এই মনে করে অসংখ্য মানুষ আমাদের কাছে এসেছে। আমরা চেষ্টাও করেছি তাদের কাজটা সুন্দরভাবে করে দেওয়ার। যার কারণে সাধারণ মানুষ ডিবির নামটা জানে। আমি চেষ্টা করেছি ডিবিকে একটা আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে।

বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) সন্ধ্যায় মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় গেটে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে বুধবার ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের সই করা এক অফিস আদেশে ডিবি থেকে হারুন অর রশীদকে ডিএমপি সদর দপ্তরের ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগে বদলি করা হয়।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমার উপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে ডিএমপিতে বিস্তৃত পরিসরে কাজ করার সুযোগ দিয়ছেন। ডিবিতে চাকরির তিন বছর তিন মাস আমি সাধারণ মানুষের কাছে ডিবিকে একটা আস্থার জায়গায় পরিণত করেছি। এখানেও আমি সেভাই কাজ করবো। থানায় এসে যেন মানুষ সেবা নিতে পারে সেই লক্ষ্যে আমি চেষ্টা করবো। সাধারণ মানুষ যেন থানায় আসে এবং সেবাটা পায়। যেকোনো ঘটনায় থানায় গিয়ে জিডি-মামলা করতে পারে। থানাকে সাধারণ মানুষের আস্থায় নিয়ে যেতে চেষ্টা করবো।

এক প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, ডিবিতে থাকাকালীন সময়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। মতিঝিলে আওয়ামী লীগ নেতা টিপু হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে এমপি আনার হত্যার মামলাসহ অসংখ্য খুনের ঘটনায় নির্ভুলভাবে তদন্ত করে সাক্ষ্যপ্রমাণ নিয়ে মামলার ক্লু বের করেছি। আমরা কোনো নিরীহ মানুষকে গ্রেপ্তার করিনি। আর প্রভাবশালী ব্যক্তি যত বড় ক্ষমতাসীন হোক না কেন জড়িত থাকলে তাকেও ছাড় দেয়নি।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নাশকতা-সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। কেউ যদি নির্দোষ প্রমাণিত হয় তাদের গ্রেপ্তার করা হবে না। যারা ঘটনার সঙ্গে প্রকৃতপক্ষে জড়িত, যারা আগুন লাগিয়েছে, মেট্রোরেলে ভাংচুর-অগ্নিকাণ্ড করেছে, রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি ভবনে আগুন লাগিয়েছে ও পুলিশ সদস্যকে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে এসব ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কেউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বেলজিয়াম / যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য ফাঁস

শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে ভারতের অগ্রগতির কথা জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

মানবিক সংকটে স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকাই জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যায় : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গাজীপুর মহানগর পুলিশে বড় রদবদল

নারী ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজক জার্মানি

শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

বিলাসবহুল বাংলোতে রণবীর-আলিয়ার সুখের সংসার

খুবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১৮ ডিসেম্বর, আসনপ্রতি লড়বেন ৯৭ জন

বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত

এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কী, খরচ কেমন হতে পারে?

১০

ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র : জেনে নিন কোন পটে কারা

১১

শাজাহান খানের মেয়ে ঐশীর নামে দুদকের মামলা

১২

জাবিতে চার আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন

১৩

বিশ্বকাপের ড্র আজ : কখন, কোথায় হবে জেনে নিন

১৪

আরও ক্ষমতা বাড়ল পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের

১৫

গরম ডাল-ভাতের সঙ্গে লেবু চিপে খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর?

১৬

ফের বিতর্কে শাহরুখপুত্র

১৭

মহাসমাবেশ থেকে পে-স্কেল নিয়ে নতুন ঘোষণা সরকারি কর্মচারীদের 

১৮

বিপিএল: চট্টগ্রাম রয়্যালসের সমর্থকদের জন্য মিলল দুঃসংবাদ

১৯

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ ফেরত

২০
X