সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সব ধরনের নিপীড়ন বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে সনাতনী ছাত্র-জনতা। রোববার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রদীপ প্রজ্বলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে তারা এ দাবি জানান।
তারা অভিযোগ করেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের মন্দির ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও হত্যা চলছে।
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর থেকে সারা দেশে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে সনাতনী ছাত্রদের ডাকে গত শুক্র ও শনিবার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। শনিবার শাহবাগের অবরোধ কর্মসূচি শেষে তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়ে রোববার প্রদীপ প্রজ্বলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সেই ঘোষণা অনুযায়ী বিকেল থেকে ছাত্র-জনতা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকে। সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্বলন শেষে ছাত্র-জনতার মুহুর্মুহু স্লোগানে শহীদ মিনার এলাকা প্রকম্পিত হতে থাকে। রাত ৮টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলে।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ সচিবালয় সনাতন কমিউনিটি পরিষদের আহ্বায়ক মিঠু কুমার রায় জানান, সারা দেশে হিন্দু হত্যা-নিপীড়ন বন্ধসহ ৮ দফা দাবিতে সনাতনী বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষে প্রদীপ প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শনিবারের দেওয়া আলটিমেটাম অনুযায়ী দুই দিনের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নে যথাযথ কার্যক্রম শুরু না হলে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মনোরঞ্জন মণ্ডল বলেন, দেশে মানুষের নিরাপত্তা নেই। অসাম্প্রদায়িক, সুখী, সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গড়তে দল, মত নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ হওয়া ও সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে এগিয়ে আসতে হবে। এ পর্যন্ত সংঘটিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের সব ঘটনা তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে।
মন্তব্য করুন