বন্যাদুর্গত এলাকায় তিন মাস পর্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যে চাল ও আটা বিক্রি করা হবে। প্রতি কেজি চালের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা, খোলা আটা প্রতি কেজি ২৪ টাকা এবং ২ কেজির প্যাকেট আটা ৫৫ টাকা।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে খাদ্যসচিব ইসমাইল হোসেন এ তথ্য জানান। ইসমাইল হোসেন বলেন, সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ১৪ জেলার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে চাল ও আটা সরবরাহের লক্ষ্যে দুর্গত এলাকার পৌরসভা, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে চাল-আটা পৌঁছে দিবে খাদ্য মন্ত্রণালয়। দেশের ১৪ জেলার বন্যাদুর্গত এলাকায় ২৩০টি কেন্দ্রে সাশ্রয়ী মূল্যে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। দৈনিক ২৩০ টন চাল ও ২৩০ টন আটা বিক্রি করা হবে। নির্ধারিত প্রতি কেজি চালের মূল্য ৩০ টাকা, প্রতি কেজি খোলা আটা ২৪ টাকা এবং ২ কেজির প্যাকেট আটা ৫৫ টাকা করে বিক্রি করা হবে।
তিনি বলেন, গত দুই সপ্তাহে বাজারে চালের দাম কমেছে। চালের মানের ওপর প্রতি কেজিতে ২ থেকে সাড়ে ৪ টাকা দাম কমেছে। বর্তমানে সরকারের চাল আমদানির কোনো পরিকল্পনা নেই। এ ছাড়া ৫০ হাজার টন গম নিয়ে রাশিয়া থেকে একটি জাহাজ এসেছে। চট্টগ্রামে এই গম খালাস হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গতকাল (৩১ আগস্ট) বোরো মৌসুমের ধান চাল সংগ্রহ শেষ হয়েছে। সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ লাখ টন। সংগ্রহ হয়েছে ১১ লাখ ২৫ হাজার ৩৮১ টন। ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ লাখ টন। সংগ্রহের পরিমাণ ২ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯ টন। আতপ চাল সংগ্রহ হয়েছে এক লাখ ২৪ হাজার ৬৮ টন। এ ছাড়া, ৫০ হাজার টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সংগ্রহ করা হয়েছে মাত্র ৩৭ টন।
খাদ্যসচিব বলেন, বর্তমানে সরকারি খাদ্য গুদামে ১৯ লাখ ৭৩ হাজার ৪৩৩ টন খাদ্যশস্য মজুত আছে। এসব খাদ্যশস্য সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে, কোন ধরনের সংকট নেই। দেশজুড়ে মনিটরিংয়ের কারণে চালের দাম কিছুটা কমে এসেছে। মূল্য পরিস্থিতিও স্বস্তিদায়ক অবস্থায় আছে।
মন্তব্য করুন