কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪৩ এএম
আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ
ইসি সংস্কার কমিশন

জেসমিন টুলীর দৌড়ঝাঁপ

নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী। ছবি : সংগৃহীত
নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী। ছবি : সংগৃহীত

আবারও আলোচনায় এসেছেন নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী। নির্বাচন কমিশন সংস্কারে গঠিত সংস্কার কমিশনকে কেন্দ্র করে তার নাম উঠে এসেছে। কমিশনে জায়গা পেতে সংস্কার কমিশনের প্রধান ছাড়াও অন্তর্বর্তী সরকারের নানা মহলে যোগাযোগ রক্ষা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোকেয়া হলের সাবেক এই ছাত্রলীগ নেত্রী। নির্বাচন কমিশনের একাধিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশন ছাড়াও রাজনৈতিক অঙ্গনে এক আলোচিত নাম জেসমিন টুলী। একসময় রোকেয়া হলের তুখোড় ছাত্রলীগ নেত্রী হিসেবে মাঠে সক্রিয় ছিলেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এ সাঈদের নিরপেক্ষ কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে তৎকালীন উপসচিব জেসমিন টুলীর বিরুদ্ধে।

ওই নির্বাচনে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, সাদেক হোসেন খোকা, বগুড়ার হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, মেজর মান্নানসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের ভৌতিক ভোটার তালিকা এবং ভোটকেন্দ্রের নথি তিনি গায়েব করে দেন বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ বিএনপির। পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশে সেগুলো জেসমিন টুলীর অফিস রুমের বারান্দার ড্রয়ার থেকে উদ্ধার করা হয়। এমনকি এহসানুল হক মিলনের ক্লাসমেট বলে বিভিন্ন সময় পরিচয় দেওয়া এই জেসমিন টুলীই মিলনের আমেরিকার নাগরিকত্ব পরিত্যাগপত্রের ফাইলটি গায়েব করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

২০০৫ সালে বিএনপির সময়ে নিয়োগকৃত ৮৫ জন উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাকে বিএনপি কর্মকর্তা হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। এর পেছনে পরোক্ষভাবে কাজ করেন ইসির তৎকালীন এই কর্মকর্তা। ২০০৮ সালে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের পরাজয়ের জন্য জেসমিন টুলীর প্ররোচনায় তাদের নির্বাচনী এলাকাগুলো অসামঞ্জস্যপূর্ণ পুনর্বিন্যাসকে দায়ী করা হয়।

২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনে বিএনপি যাতে অংশগ্রহণ না করে, সেজন্য নির্বাচনী শিডিউল পেছানোর সুযোগ থাকার পরও তা না করে একতরফা নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য জাতীয় পার্টি প্রত্যাহারপত্র জমা দিলেও নানা ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে রিটার্নিং অফিসারদের তা গ্রহণ না করতে এই জেসমিন টুলী নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এভাবে ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বড় কৃতিত্ব দেওয়া হয় এই কর্মকর্তাকে। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সিনিয়রকে পাশ কাটিয়ে তার পদোন্নতি দেওয়ার ব্যবস্থা করে। চাকরিজীবনের শেষ দিন পর্যন্ত জেসমিন টুলী আওয়ামী লীগকে সহযোগিতার মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।

ইসির একাধিক সূত্র জানায়, অবসর গ্রহণের পর এই কর্মকর্তা নতুনভাবে খোলস পাল্টে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সক্রিয় রয়েছেন। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনে সম্পৃক্ত থাকতে কমিশন চেয়ারম্যানসহ অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ রক্ষা করছেন তিনি। এ চেষ্টা সফল হলে তা সরকার ও ছাত্র-জনতার বিপ্লবের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করতে পারে বলে মনে করছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা ও রাজনীতিকরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে পরীক্ষায় বসছে সাড়ে ৫ লাখ শিক্ষার্থী 

ফেনীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড

কিংবদন্তি নির্মাতার চরিত্রেরে জন্য পছন্দ ভিকি

ময়মনসিংহে ১১ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই ট্রেন লাইচ্যুত

লক্ষ্মীপুরে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

বীর মুক্তিযোদ্ধা ইমামুল কবীর শান্তর মৃত্যুবার্ষিকী আজ 

আনোয়ারুল আজিমের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল

দেশ ছাড়ার গুজব উড়িয়ে লড়াইয়ের ঘোষণা ফারুকের

উত্তাল সাগর, উপকূলে আটকে গেল জাহাজ

মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য সচেতনতামূলক সেশন 

১০

জেলে বসে নতুন ফরমেটে খেলতে নামছেন ইমরান খান

১১

প্রধান উপদেষ্টাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিল সোকা বিশ্ববিদ্যালয়

১২

গাজীপুর আইনজীবী সমিতি / সভাপতি-সম্পাদকসহ ৫ পদে জিতে জামায়াতের চমক

১৩

সন্ধ্যার মধ্যে যেসব জেলায় ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

১৪

কাপ্তাই হ্রদে নৌচলাচলে নিষেধাজ্ঞা

১৫

১২০ টাকায় ২০ তরুণ-তরুণীর পুলিশে চাকরি

১৬

দিনাজপুরে সেনাবাহিনীর হাতে আটক এনসিপি নেতা

১৭

জাপান-বাংলাদেশের ৬ সমঝোতা স্মারক সই 

১৮

জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পেশাজীবীদের পুষ্পস্তবক অর্পণ

১৯

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ইন্ট্রা লিগ্যাল ডিবেট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ‘লিগ্যাল লিজেন্ড’ দল

২০
X