কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আওয়ামী প্রেতাত্মাদের প্রশাসনে রাখা জনগণের সাথে প্রতারণা : হাসনাত

ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি : সংগৃহীত
ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি : সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকলকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এখনও আওয়ামী প্রেতাত্মাদের উপস্থিতি বিদ্যমান। তারা বিপ্লবের চেতনা এবং বিপ্লবকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে করা পোস্টে হাসনাত বলেন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন এবং পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুলের নিরাপদে দেশত্যাগ বর্তমান সরকারের প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এখনও আওয়ামী প্রেতাত্মাদের উপস্থিতির প্রমাণ।

হাসনাত আরও লেখেন, বিপ্লবী সরকার হিসেবে বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব ছিল গণহত্যায় জড়িত সকলকে বিচারের আওতায় আনা। কিন্তু পুলিশ এবং প্রশাসনে আওয়ামী সহযোগীদের বহাল রাখা বা তাদের নিরাপদে দেশত্যাগ করতে দেওয়া সরকারের ব্যর্থতার পরিচায়ক।

হাসনাত লেখেন, আওয়ামী প্রেতাত্মাদের প্রশাসনে বহাল রাখা জনগণের সাথে প্রতারণার শামিল। প্রকৃতপক্ষে, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দেশের বৃহত্তর স্বার্থ ভুলে গিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে, যা বিপ্লবের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

প্রশাসনের সকল স্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থের জন্য দেশের ভবিষ্যৎকে বিপদে না ফেলার আহ্বান জানান জুলাই আন্দোলনের এই সমন্বয়ক। তিনি বলেন, আপনারা বিপ্লবের চেতনা ধারণ করুন এবং দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সেবা প্রদান করুন।

হাসনাত লেখেন, বিপ্লবী সরকারের প্রতিও আমাদের আহ্বান, বিগত ১৫ বছরে এবং জুলাই বিপ্লবে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে যারা সহযোগী ছিল, তাদের যেন বিচারের আওতায় আনা হয়। যারা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি লেখেন, আবু সাঈদ, ওয়াসিম এবং মুগ্ধের আত্মা তখনই শান্তি পাবে, যখন অপরাধীরা পূর্ণমাত্রায় শাস্তি পাবে এবং সরকার বিপ্লবের চেতনা নিয়ে কাজ করবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফরিদা পারভীনের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া 

দুর্নীতির অভিযোগে বিচার হবে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের

মুল্ডারের সেই ইনিংস নিয়ে লারার চমকপ্রদ প্রতিক্রিয়া

দুবাইকে ম্যাচ জিতিয়ে যা বললেন সাকিব

কাঁচামরিচের কেজি ৩০০ টাকা ছুঁইছুঁই

ভারতে বাবার গুলিতে টেনিস তারকা নিহত

এখনই বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন

ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণ দাবি

সন্ধ্যার মধ্যে ৬ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

শিল্পার সৌন্দর্যের গোপন রহস্য ফাঁস করলেন সঞ্জয়

১০

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ২০ কিমি যানজট, যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে 

১১

নাক ডাকার সমস্যায় ভুগছেন? জেনে নিন সমাধান

১২

বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে একজনের মৃত্যু

১৩

বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা, যা বললেন নেহা

১৪

১২ শিক্ষকের সেই স্কুলে এবারও সবাই ফেল

১৫

দ্বিতীয় দিনের বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা শেষ

১৬

এসএসসিতে আমিরাতের ২ প্রতিষ্ঠানে পাসের হার ৭২ শতাংশ

১৭

এক দেশে ৩৫%, অন্যদের ২০% শুল্কের ইঙ্গিত ট্রাম্পের

১৮

এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু, যেভাবে করবেন

১৯

গাজায় বিস্ফোরণে ইসরায়েলি সেনা নিহত, উত্তেজনা চরমে

২০
X