রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় খালেদা জিয়াকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে গত ৮ অক্টোবর। মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে বিএনপির এক নেতাকেও। বিএনপির ওই নেতার নাম ইসহাক মিয়া। তিনি বর্তমানে ৫২নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে আছেন।
এই মামলা নিয়ে খোদ বিএনপির স্থানীয় নেতারাই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। সামনে মহানগর বিএনপির কমিটি দেওয়া হবে তাই আলোচনায় থাকার জন্য মামলাটি করা হয়েছে বলে স্থানীয় বিএনপির অনেকের মত। বিষয়টি লিখিত আকারে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীকেও জানানো হয়েছে।
মামলার বাদী যুবদলের সাবেক নেতা এস এম জাহাঙ্গীর এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল উত্তর সিটি নির্বাচনে খালেদা জিয়া নির্বাচনী প্রচারণায় উত্তরা এসেছিলেন। সেই দিন উত্তরা ৩ নং সেক্টরে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা হয় এবং খালেদা জিয়াকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
মামলায় ৭৯ নম্বর আসামি হিসেবে নাম দেওয়া হয় ইসহাক মিয়ার। ইসহাক বর্তমানে ৫২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি। মামলায় তাকে তুরাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দেখানো হয়েছে। অথচ তিনি দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে তুরাগের হরিরামপুর ইউনিয়ন বিএনপির নানা পদে নিযুক্ত ছিলেন। সেই সঙ্গে গত ১৮ বছরে তুরাগ থানায় ৭টি এবং উত্তরার অপর দুটি থানায় মোট ৮টি রাজনৈতিক মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। একটি মামলায় ৩০ মাসের সাজাও পান তিনি।
উল্লেখ্য, রাজধানীর উত্তরায় এ পর্যন্ত দখল, ছিনতাই চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আজমল হুদা মিঠু, মিলন মিয়া ও আলাউদ্দিন সরকার টিপুকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত এই তিনজনই সাবেক যুবদল নেতা এস এম জাহাঙ্গীরের একনিষ্ঠ কর্মী। এই বিষয়টি আড়াল করতেই বিএনপির ক্লিন ইমেজের নেতাদের মিথ্যা মামলায় জর্জরিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
মন্তব্য করুন