শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫০ পিএম
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কাউন্সিলর-সদস্য হতে পারবেন ‘সরকারি চাকরিজীবীরা’

নির্বাচন কমিশন ভবন। ছবি : কালবেলা
নির্বাচন কমিশন ভবন। ছবি : কালবেলা

সিটি করপোরেশন-পৌরসভার কাউন্সিলর ও ইউপি সদস্য পদে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। এমন সুপারিশ চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) মাঠপর্যায়ে মতামত নেওয়া এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষ করেছে কমিশন। এরপর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করে প্রতিবেদন তৈরির প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কমিশন আশা করছে, ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবে তারা।

এ ছাড়া পৌরসভা-সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং ইউনিয়ন-উপজেলা-জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে স্নাতক বা সমমান। এমন সুপারিশও চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন।

কমিশন সূত্র জানিয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন ভোটাররা। আর ইউপি সদস্যরা ভোট দিয়ে একজনকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন। চেয়ারম্যানকে অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। তা না হলে তিনি চেয়ারম্যান হতে পারবেন না। একইভাবে ইউপি সদস্যদের মধ্য থেকে একজনকে সভাধ্যক্ষ নির্বাচিত করা হবে। তাকেও স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে।

একই পদ্ধতিতে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় সরাসরি ভোটে মেয়র নির্বাচিত হতে পারবেন না। কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে মেয়র ও সভাধ্যক্ষ নির্বাচিত হবেন। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও মেয়রদের দায়িত্ব হবে সার্বক্ষণিক।

নতুন সুপারিশ কার্যকর হলে নিরক্ষর বা স্বল্প শিক্ষিতরা আর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। ফলে এসব পদে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে অদক্ষদের বিজয়ী হওয়ার পথ বন্ধ হতে যাচ্ছে।

সংস্কার কমিশনের প্রধান স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমদ একটি জাতীয় দৈনিককে বলেন, ‘সারা দেশ থেকে সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো, দল-পেশিশক্তি ও টাকা-পয়সার কারণে শিক্ষিত লোকজন জনপ্রতিনিধি হতে পারেন না। নিরক্ষর লোকদের দাপটে সজ্জন, গুণী ও শিক্ষিতরা নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। নিরক্ষর লোক যেন জনপ্রতিনিধি হতে না পারেন, শিক্ষিতরা জনপ্রতিনিধি হতে আগ্রহী হন এবং বিজয়ী হয়ে আসতে পারেন– এমনভাবে সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হবে। কিন্তু ভোটে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার কোনো মানদণ্ড সংবিধানে উল্লেখ নেই। ভোটে অংশগ্রহণে তাদের বাদ দেওয়ারও সুযোগ নেই। এ জন্য কৌশলী হতে হচ্ছে কমিশনকে।

প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ও ভোটের পদ্ধতি নিয়ে তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন ভোটাররা। আর ইউপি সদস্যরা ভোট দিয়ে একজনকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন। চেয়ারম্যানকে অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। তা না হলে তিনি চেয়ারম্যান হতে পারবেন না। একইভাবে ইউপি সদস্যদের মধ্য থেকে একজনকে সভাধ্যক্ষ নির্বাচিত করা হবে। তাকেও স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। একই পদ্ধতিতে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় সরাসরি ভোটে মেয়র নির্বাচিত হতে পারবেন না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইরাকের সরকার গঠনে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

লেবাননে ইসরায়েলি ড্রোন হামলা

আগামী সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনকে শান্তি পরিকল্পনা মানতে হবে: ট্রাম্প

ভেড়ামারায় দুর্বৃত্তের গুলিতে গরু ব্যবসায়ী নিহত

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি তুষার, সম্পাদক হাবীব

ভূমিকম্পে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ৪১ জন আহত

ক্যারিয়ার শেষে কত উইকেট চান জানালেন তাইজুল

 ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে রাজউকের তাৎক্ষণিক পরিদর্শন

মেসিকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যা বললেন ফ্লিক

গৌহাটি টেস্টের আগে ভারত শিবিরে দুঃসংবাদ

১০

শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

১১

এই প্রজন্মে অন্ধ আনুগত্য, ভাই পলিটিক্স চলবে না : শিবির সভাপতি

১২

নাটকীয় জয়ের পরও নিজের ভুলে হতবাক আকবর

১৩

স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান : প্রধান উপদেষ্টা

১৪

নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ 

১৫

ভূমিকম্পে ছেলের পর এবার চিকিৎসাধীন বাবার মৃত্যু

১৬

তারেক রহমানের জন্মদিনে ৫ হাজার মানুষকে উপহার দিলেন যুবদল নেতা

১৭

জামায়াতের নাড়িপোতা পাকিস্তানে : মাহমুদ হাসান 

১৮

ঐক্যবদ্ধভাবে পরস্পরের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান গণসংহতির

১৯

তারেক রহমান : ইতিহাসের অগ্নিপথ পেরিয়ে জাতির প্রত্যাশার শিখরে

২০
X