মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান নগদে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিএ) আতিক মোর্শেদের স্ত্রীর চাকরির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ‘কাজটা ঠিক হয়নি, এটা আমি বিনাবাক্যে স্বীকার করছি।
শনিবার (৩১ মে) দুপুরে ফেসবুকে নিজের আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
পোস্টে ফয়েজ আহমদ লেখেন, ‘আমি বাংলাদেশ রাষ্ট্র এবং এ দেশের মানুষের একটি পয়সাও চুরি করব না—এই আস্থাটা আমার ওপর রাখবেন আশা করি। আমি প্রচণ্ড রকম আর্থিক সততা নিয়ে বড় হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এসেছে। কাজটা ঠিক হয়নি—এটা আমি বিনাবাক্যে স্বীকার করছি। তাকে প্রচণ্ড রকম বকাবকিও করেছি। উনার বউকে চাকরি দেওয়ার বিষয়টি আমি তদন্তের ব্যবস্থা করেছি, নির্দেশনা দিয়েছি। নগদের অ্যাক্টিং সিইও এই বিষয়ে প্রেস রিলিজে বলবেন।’
‘তবে বলে রাখি, এখানে অন্যায়ভাবে সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং আমাকে টেনে আনা হয়েছে।'
এর আগে এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আতিক মোর্শেদ এ বিষয়ে মুখ খোলেন।
গতকাল শুক্রবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুকে এক দীর্ঘ পোস্টে ঘটনার বিষয়ে তুলে ধরে আতিক মোর্শেদ দাবি করে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মাত্র দুইবার নগদ অফিসে গেছেন। সেটিও অফিসিয়াল কাজে।’
স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার ওয়াইফ স্বীয় মেধা ও যোগ্যতায় নগদে আবেদন করেছেন। নগদ কর্তৃপক্ষ তার পূর্বের অভিজ্ঞতা, মেধা এবং যোগ্যতার মানদণ্ড অনুসরণ করে তাকে সেখানে শর্ত সাপেক্ষে অস্থায়ী চাকরি দিয়েছে।’
এদিকে প্রকাশিত এক সংবাদে আতিক মোর্শেদকে সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের ‘সাবেক পিএ’ দাবি করায় এর ব্যাখ্যায় আতিক মোর্শেদ বলেন, ‘আমি আতিক মোর্শেদ, বর্তমানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফায়েজ তায়েব আহমেদ মহোদয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছি।’
মন্তব্য করুন