সব প্রস্তুতি শেষ করা গেলে ২০২৬ সালের পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও (ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে) নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে বলে সরকারপ্রধান ড. ইউনূস এবং বিএনপির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রধান তারেক রহমান সম্মত হয়েছেন। আর এদিকে আসন্ন নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার সময় জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ভোটের দুই মাস আগে তফশিল ঘোষণা করা হবে। সেই হিসেবে ৫৫ দিন হয় বা ৬০ দিন আগেই তফশিল হবে। এই মুহূর্তে ভোটের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা সম্ভব নয়। তবে নির্বাচন যখনই হোক কমিশন প্রস্তুত রয়েছে।
রোববার (১৫ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করা হয় সাধারণত ভোটের দুই মাস আগে। ৫৫ দিন হয় বা ৬০ দিনও হয়। নির্বাচন করার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’
সিইসি বলেন, নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করার আগে ভোটার তালিকা প্রস্তুত থাকতে হবে। ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলতি জুন মাসের মধ্যে শেষ করা হবে। তরুণ প্রজন্মকে যুক্ত করার জন্য প্রয়োজনে ভোটার রেজিস্ট্রেশন আইনে কিছুটা পরিবর্তনের কথা চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে। যাদের ১৮ বছর হয়ে যাবে তাদেরকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এছাড়া রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের আবেদনের সময়ও ২২ জুন শেষ হচ্ছে। এছাড়া সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের মতো বড় কাজও রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনার দরকার রয়েছে। এতদিন এগুলো নিয়ে সরকারই আলোচনা করেছে। তাদের পজিশন আমাদের বুঝতে হবে। সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর ভোটের সম্ভাব্য সময়সীমা নিয়ে ধারণা পেলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সরকার থেকে যদি ধারণা পাই, আমরা সেই অনুযায়ী নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত আছি, সব চেয়ে বড় কাজ ভোটার রেজিস্ট্রেশন। এই কাজটা মোটামুটি শেষ। যেদিন আমরা নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করবো সেদিন আমার কাছে ভোটার তালিকা রেডি থাকতে হবে। এটাই হচ্ছে আইন।
সিইসি বলেন, নির্বাচন নিয়ে এখনো কোনো টার্গেট ঠিক করিনি। লন্ডনে তারা একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। জয়েন্ট স্টেটমেন্ট দেখেছি, রমজানের আগেও নির্বাচন হতে পারে। নির্বাচন কমিশন যতই স্বাধীন হোক, একটা সুন্দর নির্বাচনের জন্য সরকারের সহযোগিতা লাগবে। সরকারের সহযোগিতা ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়। সরকার প্রধানই বলছেন, ‘আমি একটা সুন্দর নির্বাচন দিব’। তার মানে তার দায়দায়িত্ব আছে। তা না হলে তিনি কি এ কথা বলতেন।
তিনি বলেন, ‘একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। বিশেষ ধরনের সরকার, বিশেষ ধরনের পরিস্থিতি, একদিকে সরকার বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা করছে। সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা চলছে। বিচারটা বিচারকের হাতে ছেড়ে দিতে হবে, তবে ত্বরান্বিত করার বিষয় রয়েছে, এটি নিয়ে আলোচনা চলছে। আমাদের ধারণা, সরকারের পক্ষ থেকে একটা তারিখ ঘোষণা হবে। কিন্তু লন্ডন সফরের পরে দায়-দায়িত্ব কিছুটা আমাদের ওপরই আসছে।’
সূত্র : বাসস
মন্তব্য করুন