চাহিদা জানানোর পরও ৭১ বছর বয়সী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক মার্কিন নাগরিককে হুইলচেয়ার সুবিধা না দিয়ে তাকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে। ট্রানজিট ফ্লাইটে দুবাই এয়ারপোর্টে এমন ঘটনা ঘটে।
স্বজনরা বলছেন, লাইলা হুসেইন নামের ওই যাত্রীর বয়স ও শারীরিক অবস্থার কারণে দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হন এবং এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিষয়টি এমিরেটস এয়ারলাইন্সকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি।
ঘটনা জানিয়ে ওই যাত্রীর আমেরিকা প্রবাসী মেয়ে ইশরাত জাহান ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানান।
ইশরাত জাহান বলেন, তার মা গত ১০ জুলাই ঢাকা থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ই কে ৫৮৭ ফ্লাইটে নিউইয়র্কে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন। তার সিট ১১ এইচ ছিল। ট্রানজিটে ইকে ২০৫ ফ্লাইটে সিট নম্বর ছিল ৪৭ সি। তার মা ঢাকা বিমানবন্দরে হুইলচেয়ার সুবিধা পেলেও দুবাই বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর ক্রুদের জানানোর পরও প্রতিশ্রুত হুইলচেয়ার পাননি।
তিনি জানান, প্রতিশ্রুত হুইল চেয়ার চাইলে এমিরেটসের গ্রাউন্ড স্টাফ তাকে অল্প পথে হেঁটে যেতে বলেন। যদিও সেটি দীর্ঘ পথ ছিল। দুবাইতে তাকে অন্য ট্রামিনালে নেওয়া হলেও হুইলচেয়ার সার্ভিস দেয়নি এয়ারলাইন্সটি।
ইশরাত জাহান জানান, ঘটনা জেনে তিনি দুবাইয়ে এমিরেটস কাস্টমার সার্ভিসে তার মায়ের জরুরি সহায়তা চেয়ে যোগাযোগ করেন। তবে কোনো ধরনের সহায়তা পাননি।
লাইলা হুসেইনের অন্য এক স্বজন জানান, ট্রানজিট ফ্লাইটটি মিলান বিমানবন্দরে দুই ঘণ্টা অপেক্ষার সময় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। যেখানে সাধারণত জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরগামী যাত্রীদের উড়োজাহাজ থেকে নামতে হয় না, সেখানে সব যাত্রীদের নামিয়ে আনা হয়। কিন্তু এরপর অপেক্ষার জন্য তাদের কোনো আসন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। লাইলা হুসেইনের মতো অনেক যাত্রীই তখন দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হন।
তিনি ফেসবুক পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘উচ্চমূল্যের টিকিটের বিনিময়ে এই ধরনের যাত্রীসেবা কি আমাদের প্রাপ্য? জীবনের সবচেয়ে খারাপ এয়ারলাইন্স অভিজ্ঞতা... যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতেও আমি আর কখনো এমিরেটস বেছে নেব না।’
বাংলাদেশ থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্স বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে ফ্লাইট চালাচ্ছে। যদিও যাত্রী সেবায় প্রতিশ্রুত মান নিয়ে বিভিন্ন সময়েই অভিযোগ উঠেছে। এবার একজন বয়স্ক নারী যাত্রীকে হুইল চেয়ার সেবা না দেওয়ার অভিযোগ উঠল।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে এমিরেটসের ঢাকা অফিসে যোগাযোগ করা হলেও কারো সাড়া মেলেনি।
মন্তব্য করুন