রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের অধিকাংশই শিশু। এদের মধ্যে ৭ জনের মরদেহের অবস্থা এমন যে, চেহেরা দেখে চেনার উপায় নেই। তাই তাদের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে।
সোমবার (২১ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান এসব তথ্য জানান।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা সায়েদুর রহমান বলেন, যে ১৭ জন (পরবর্তীতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২০) নিহত হওয়ার তথ্য পেয়েছি, তারা সবাই শিশু। এর মধ্যে ৭ জনের লাশ শনাক্ত করা যায়নি। তাদের পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা লাগবে।
এসময় তিনি আরও জানান, তাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৮৮ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। প্রাথমিক মূল্যায়নে এদের মধ্যে ২৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটের দিকে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই মডেলের একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। আছড়ে পড়ার পরপরই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এতে বিমানটির পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরসহ অন্তত ২০ নিহত হন।
মন্তব্য করুন