ডেঙ্গু প্রতিরোধে দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে মশারি বিতরণ করতে সরকারকে পরমার্শ দিয়েছে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেন, এ সহজ পদ্ধতি প্রয়োগ করলে ৫০ শতাংশ হতাহত কমে যাবে।
জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, মশারি কিনতে পারে না ঢাকা শহরে এমন মানুষ আছে বলে আমার জানা নেই। কিন্তু মশারি ব্যবহার না করার প্রবণতা আছে। তারা মশারি ব্যবহার করে না।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে শেখ হাসিনা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, জামালপুর বিল- ২০২৩ এর উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এসব কথা বলেন।
জনমত যাচাইয়ের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ডেঙ্গু মশা গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে। মশা মারতে কামান দাগানোর কথা ছিল, প্রয়োজনে কামান দাগাতে হবে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ প্রক্রিয়া সহজ বলে উল্লেখ করেন শামীম হায়দার পাটোয়ারী। একই সঙ্গে তিনি পথও বাতলে দেন।
তিনি বলেন, আমি তো মনে করি খুব সহজ ব্যাপার, ১ লাখ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করেন, তারা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে লার্ভা পরিষ্কার করবে, ওষুধ দিয়ে আসবে। এখন ওষুধটা যদি ভেজাল হয়, তাতে কোন কাজ না করলে ডেঙ্গুতো বাড়বেই, খুব স্বাভাবিক। স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে বিশেষজ্ঞদের বসার অনুরোধ করেন তিনি।
জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুর বিষয়ে গোটা জাতি উদ্বিগ্ন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন তুলে ধরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এ বছর সারা পৃথিবীতে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা দেখা দিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে পৃথিবীর ৫০ শতাংশ লোক ডেঙ্গু ঝুঁকিতে আছে। আমরা সতর্ক আছি। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু করা সম্ভব তার সবটুকু করছি।
মন্তব্য করুন